রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের এফব্লক এলাকায় হেফজ বিভাগের ৯ বছর বয়সী শিশু ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে হাসেমিয়া ইসমাঈলিয়া মাহমুদিয়া সুন্নিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন (৩০) কে আটক করেছে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশ।গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) রাত ১১টায় এফব্লক এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,বলাৎকারের শিকার ছাত্রের বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে রাঙামাটির আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার লিখিত অভিযোগে ছাত্রের বাবা বলেন, আমার ছেলে হেফজ বিভাগে পড়ালেখা করে এবং বিবাদী উক্ত হেফজখানার শিক্ষক। বিবাদী প্রায় দেড় মাস পূর্ব হইতে আমার ছেলেকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিয়া জোরপূর্বক পায়ুপথে ধর্ষণ করিয়া আসিতেছে। সর্বশেষ গত ১৯/০৬/২০২৩ ইং তারিখ অনুমান ১১টার সময়ও উক্ত বিবাদী বর্ণিত এতিমখানায় তাহার শয়ন কক্ষে আমার ছেলেকে বলাৎকার করে। আমার ছেলে ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। কোরবানির বন্ধের ছুটি শেষে হেফজখানা খুললে ছেলেকে হেফজখানায় যেতে বললে আমার ছেলে হেফজখানায় যেতে অনীহা প্রকাশ করত বর্ণিত তথ্যটি প্রকাশ করে।
বিষয়টি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে জানালে, তিনি কাউকে না জানিয়ে ছেলেকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। পরে সঠিক বিচারের আশায় আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
এ বিষয়ে হাসেমিয়া ইসমাঈলিয়া মাহমুদিয়া সুন্নিয়া হেফজখানা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ আলী সাথে যোগাযোগ করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment