হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় পুলিশি হেফাজতে আসামি মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ ওই যুবককে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, সে থানার একটি রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় পুলিশি হেফাজতে আসামি মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ছবি সংগৃহীত
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ জানায়, বানিয়াচং উপজেলা সদরের নন্দিপাড়া গ্রামের মিহির উদ্দিনের ছেলে গোলাম রাব্বানীকে মঙ্গলবার বিকেলে বড় বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদের জন্য থানার একটি কক্ষে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই কক্ষের ভিতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই কক্ষে তার পরনে থাকা গেঞ্জিসহ কাপড় দিয়ে তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ২৫ বছর বয়সী টগবগে সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে খুন করে আত্মহত্যা বলছে পুলিশ। লাশের গায়ে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তারা। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন তারা। এদিকে লোমহর্ষক এ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখা যায়। পরে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাব্বানিকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পরনে থাকা গেঞ্জিসহ কাপড় দিয়ে তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেন। গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে বানিয়াচং থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
No comments:
Post a Comment