Monday, December 18

এক রাতে তিন মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর

উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটি ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি : কালবেলা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক রাতে তিন মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ সনাতনী বিভিন্ন সংগঠন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তা এলাকায় এই মানববন্ধন হয়।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে আলফাডাঙ্গা পৌর সদরে একই রাতে ৩টি মন্দিরের অন্তত ১০টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন পালিত জয়। এ ছাড়া গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটি ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের নৌকা মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহমান।

ভাঙচুর হওয়া মন্দিরগুলো আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকায় অবস্থিত। এগুলো হলো ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুশুমদী মহল্লার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, শ্রী বিষ্ণু পাগলের মন্দির এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলফাডাঙ্গা মহল্লার শ্রীশ্রী দামুদর আখড়া। এর মধ্যে হরি মন্দিরের দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, মনসা ও মহাদেব; বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের মহাদেব ও মনসা এবং দামুদর আখড়া মন্দিরের মহাদেব, শিবলিঙ্গ ও নারায়ণ—১০টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।


কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর কুমার বিশ্বাস কালবেলাকে বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত একটা থেকে শনিবার সকাল ছয়টার মধ্যে তিনটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। প্রতিটি মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।


শ্রী বিষ্ণু পাগল আশ্রমের সভাপতি ননী গোপাল স্বর্ণকার বাদী হয়ে থানায় মামলার জন্য রোববার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় এখনো কোন কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।


আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা কালবেলাকে বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনার মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।


Copied from: https://www.kalbela.com/country-news/49023

No comments:

Post a Comment