Wednesday, December 27

জামালপুরে পুলিশি হেফাজতে আসামির মৃত্যু, পরিবারের দাবি ‘নির্যাতনে হত্যা’

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পুলিশ হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বলছে, “স্ট্রোক” করে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছে তারা।

মারামারির অভিযোগে হওয়া মামলায় সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনার বাসিন্দা আনোয়ার হেসেনকে (৪৫) মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই “স্ট্রোক” করলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।

বুধবার সকালে আনোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক শহিদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর উপজেলার দোলভিটি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার সঙ্গে চাপারকোনা বাজারে মারামারি করেন আনোয়ার। এ ঘটনায় ফিরোজের ভাই সোহেল রানা বাদী হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন। এই মামলার আসামি ছিলেন আনোয়ার। মামলার পরদিন বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুর রহমানের দাবি, মঙ্গলবার দিবারাত ১২টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় আনোয়ারকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ সঠিক নয়।

“স্ট্রোক” করার দাবি প্রত্যাখ্যান করে মৃতের স্ত্রী আলপনা বেগম বলেন, “পুলিশ যখন আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে তখন পুরোদমে সুস্থ ছিলেন তিনি। থানায় নেওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় ফোনে কথা হয়েছে; তখনও তিনি সুস্থ ছিলেন। হঠাৎ রাত ১২টার দিকে খবর আসে আনোয়ার স্ট্রোক করেছেন।”


মৃতের বোন নুরজাহান বেগমের অভিযোগ, তার ভাই সুস্থ ছিলেন। পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে। ভাই হত্যার বিচার দাবি করেছেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহেদি হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়।


স্থানীয় ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন জানান, পুলিশ তাকে ফোন করে আনোয়ার হোসেনের অসুস্থতার খবর জানায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসপাতালে যান; সেখানে আনোয়ার হোসেনের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে একই সুরে কথা বলেন সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “আনোয়ার হোসেন মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।”
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/75030/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0?fbclid=IwAR31yUhs1eWQHLoiXPP3xTT6pCaFECgztrt8Zxuh4Sw-TUHlvNNICKCuaFE

No comments:

Post a Comment