সাভার মডেল থানার এসআই ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিককে মারধরের পর মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে সাভার সদর ইউনিয়নের চাঁপাইন তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার এসএম মনিরুল ইসলাম (৩২) একটি জাতীয় পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি। তিনি বলেন, বুধবার রাতে চাঁপাইন-তালতলা এলাকায় আমার বাসার সামনে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় প্রতিবেশী এক নারী উচ্চস্বরে কান্না করে দৌড়াচ্ছিলেন আর বলছিলেন আমার স্বামীকে কয়েকজন ব্যক্তি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দেখামাত্রই এসআই আল মামুন কবির ও কনস্টেবল নাজমুল অসদাচরণ করেন। একপর্যায়ে এসআই আল মামুন কবির আমার কলার চেপে ধরে দ্রুত চলে যেতে বলেন। কলার ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, চড়-থাপ্পড় মেরে বলেন- ‘আর একটি বাক্য উচ্চারণ করলেই তোকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠাব’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে উপ-পরিদর্শক আল মামুন কবির ও কয়েকজন কনস্টেবল সাদা পোশাকে চাঁপাইন তালতলা এলাকায় ভাড়াটিয়া সজলের বাড়িতে হানা দেয়। অজ্ঞাত কারণে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে সজলের স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাক ঘুস দাবি করেন আল মামুন কবির। এ সময় সাংবাদিক ঘটনাস্থলে আসলেই পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে।
সজল জানান, আমি গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। হঠাৎ চারজন ব্যক্তি আমার বাসায় এসে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে আটকে রেখে পুরো বাড়ি তল্লাশি করে। এ সময় অন্য ভাড়াটিয়ারা এর কারণ জিজ্ঞেস করেন। পরে তাদের পুলিশ লাথি মারতে মারতে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে জানতে পারি তারা সাভার মডেল থানা থেকে সাদা পোশাকে এসেছে।
ভুক্তভোগী সজলের স্ত্রী জানান, কোনো কারণ ছাড়াই আমার স্বামীকে পুলিশ আটকে রেখে পুরো বাড়ি তল্লাশি করে। তল্লাশি শেষে আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
সাভার মডেল থানার এসআই আল মামুন কবির যুগান্তরকে বলেন, আমি কাউকে আটক রেখে টাকা দাবি করিনি। সাংবাদিকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। একাধিকবার চেষ্টা করেও পরে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী খানের মোবাইল ফোনে কল দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে খুদে বার্তারও জবার দেননি তিনি।
ঢাকা জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা দুঃখজনক। এটা শৃঙ্খলা পরিপন্থি। বিষয়টি সাভার থানার ওসিকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের কোনো ত্রুটি থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
https://www.jugantor.com/country-news/751510/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0?fbclid=IwAR3tgprM-izcxBX8bPOcm_zrszXxBJe6fg68d3GYM1W38jiz3ImLTqUIW78
No comments:
Post a Comment