ব্রাসেলস এ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে শাহানূর ইসলামের অংশগ্রহণ!
On May 11 (Thursday), a discussion meeting was held in Brussels, Belgium with the participation of European human rights lawyers to review the current human rights situation in Bangladesh.
গত ১১ মে (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আইনজীবীদের অংশগ্রহনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Advocate Shahanur Islam, the Founder Secretary-General of JusticeMakers Bangladesh and a prominent human rights lawyer, participated in the discussion meeting as the keynote speaker.
বেলজিয়াম এর ব্রাসেলস এ অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এর প্রতিষ্টাতা মহাসচিব ও বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলামের অংশগ্রহণ করেন।
The Human Rights Committee of the Council of Bars and Law Societies of Europe (CCBE), which represents 1 million lawyers from 46 countries on the European continent, organized the discussion at the Hotel Renaissance in Brussels.
ইউরোপ মহাদেশের ৪৬টি রাষ্ট্রের ১০ লক্ষ আইনজীবীর প্রতিনিধিত্বকারী কাউন্সিল অব বারস এন্ড ল’ সোসাইটিস অব ইউরোপ (সিসিবিই) এর মানবাধিকার কমিটি ব্রাসেলসের হোটেল রেনেসাঁসে উক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে।
Stephan von Raumer, the President of the Human Rights Committee of the CCBE, chaired the meeting.
কাউন্সিল অব বারস এন্ড ল’ সোসাইটিস অব ইউরোপ (সিসিবিই)’র মানবাধিকার কমিটির সভাপতি স্টিফেন ভন রাউমার উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
Advocate Shahanur Islam discussed in detail the current political and human rights situation in Bangladesh in his speech. He highlighted the impact of US sanctions on RAB and high-level RAB officials last year.
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম তার বক্তব্যে বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে আলোচোনা করেন। গতবছর র্যাব ও র্যাবের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপর মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রদানের প্রভাব সম্পর্কে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
Besides, he discussed violence and discrimination against ethnic, religious, social, and sexual minorities, harassment of journalists, lawyers, and human rights activists while performing their professional duties, upcoming parliamentary elections, misuse of Digital Security Act, Article 70 of the Constitution, impartiality of the current Election Commission and previous BNP-Jamaat and Awami League governments.
পাশাপাশি জাতিগত, ধর্মীয়, সামাজিক ও যৌন সংখ্যালঘুদের উপর চলামান সহিংসতা ও বৈষম্য, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের নিষ্পেষণ, আগামী সংসদ নির্বাচন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের অপব্যবহার, সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং বিগত বিএনপি-জামাত ও আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অনুষ্টিত নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে অ্যাডভোকেট শাহানূর বিশদভাবে আলোচনা করেন।
Moreover, Advocate Shahanur discussed in detail the transparency of elections during the period. He also elaborated on the 2022 report produced by JusticeMakers Bangladesh on violence against lawyers in the course of their professional activities.
তাছাড়া, ২০২২সালে পেশাগত কর্মকাণ্ড পরিচালনাকালে আইনজীবীদের উপর সংঘটিত সহিংসতা বিষয়ে বাংলাদেশে জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ কর্তৃক প্রনীত প্রতিবেদনের উপর তিতিন বিশদ আলোচনা করেন।
According to him, a total of 65 lawyers were victims of various forms of violence in 38 incidents last year, out of which 60 were male and 5 were female lawyers. The forms of violence ranged from physical attacks, assault, beatings, murder, rape, kidnappings, fabricating cases, arrests, threats, intimidation, attempted murder, and judicial harassment.
গত বছর ৩৮টি ঘটনার মোট ৬৫জন আইনজীবী বিভিন্নভাবে সহিংসতার শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬০জন পুরুষ এবং ৫জন মহিলা আইনজীবী বলে অ্যাডভোকেট শাহানূর তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
In his speech, Len Viladsen, the European External Action Service (EEAS) South Asia Policy Officer and Head of Bangladesh Desk, said that the European Union is aware of the human rights situation in Bangladesh and is always working for the development and protection of the human rights of the people of Bangladesh.
ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল একশান সার্ভিস (ইইএএস) এর সাউথ এশিয়া বিষয়ক পলিসি অফিসার ও বাংলাদেশ ডেস্ক প্রধান লেন ভিলাডসেন তার বক্তব্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিত সম্পর্কে অবগত এবং বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষনে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান।
Moreover, she mentioned that the European Union will monitor the elections at the field level to make the next general elections free and fair.
তাছাড়া, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন পর্বেক্ষণ করবে তিনি উল্লেখ করেন।
In the president's speech, Stephen von Raumer, the President of the Human Rights Committee of the CCBE, said that an initiative has been taken to formulate an international convention to ensure the professional standard and freedom of lawyers, and the signature and ratification of that convention will be discussed with the government of Bangladesh. So that the lawyers of Bangladesh can conduct their professional activities independently in a free environment.
সভাপতির বক্তব্যে কাউন্সিল অব বারস এন্ড ল’ সোসাইটিস অব ইউরোপ (সিসিবিই)’র মানবাধিকার কমিটির সভাপতি স্টিফেন ভন রাউমার বলেন যে, আইনজীবীদের পেশাগত মর্যাদা স্বাধীনতা নিশ্চিতে একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সেই কনভেনশন অনুস্বাক্ষর ও অনুমোদনে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করা হবে, যাতে করে বাংলাদেশের আইনজীবীরা মুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে তাদের পেশাগত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে।
Magdalena Witkowska, the President of the Gdansk Bar Association, Poland, CCBE Human Rights Committee Legal Advisor Nathan Roosbeek, London's Essex Court Chamber Barrister Hugh Mercer QC, The Law Society of England and Wales, International Policy Assistant Petra Stojnik, and Bangladeshi human rights activist Comrade Moinuddin Khan living in France were present at the discussion meeting, among others.
উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে পোলান্ডের জিডান্স বার এসসিয়েশেনের সভাপতি ম্যাগডালেনা উইটকাওস্কা, সিসিবিই মানবাধিকার কমিটির লিগ্যাল এডভাইজার নাথান রুজবুক, লন্ডনের এসেক্স কোর্ট চেম্বারের ব্যারিস্টার হুগ মার্সার কিউসি, দি ল’ সোসাইটি অফ ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস, আন্তর্জাতিক পলিসি সহকারী পেট্রা স্টোজনিক ও ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী মানবাধিকারকর্মী কমরেড মঈনুদ্দীন খান উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment