Sunday, May 14

খুলনায় সফল অস্ত্রোপচারে ছেলে থেকে মেয়েতে রূপান্তর

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথম ছেলে থেকে মেয়েতে রূপান্তরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১২ মে) রাতে খুলনা নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সফল অস্ত্রোপচারে ছেলেকে মেয়েতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন। তাকে ওই ক্লিনিকের পোষ্ট অপারেটিভে রাখা হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। এছাড়া আরও কিছু চিকিৎসাও তাকে দিতে হবে।









অভূতপূর্ব না হলেও বিরল এ অস্ত্রোপচারে অংশ নেয়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইওরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিরুপম মন্ডল জানান, রোগির শরীরে ছেলের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থাকলেও বাহ্যিক দিক দিয়ে তাকে মেয়ের মতোই দেখা যেতো। কণ্ঠস্বরও মেয়েদের মতো। দাড়ি গোঁফ না থাকলেও চুলসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যক্ষ মেয়ের মতোই। সবমিলিয়ে তার চলাফেরা সম্পূর্ণ একজন মেয়ের মতো, তার বন্ধুরাও মেয়ে। অর্থাৎ একটি মেয়ের যেমন আমাদের সমাজে বেড়ে ওঠে তার ক্ষেত্রেও কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।









ডা. নিরুপম মন্ডল বলেন, রোগির শরীরের অভ্যন্তরে অংশটি পুরুষের মতো। কিছু অংশ দৃশ্যমানসহ কিছু অংশ পরীক্ষা নিরীক্ষায় বেরিয়ে আসে। তার শরীরে ওভারি কিংবা জরায়ুর কোন অস্থিত্ব ছিলো না। তাই তার ও তার পরিবারের সম্মতিতে আমরা তাকে এবার সম্পূর্ণ একটি মেয়ের রূপ দিয়েছি। এটা একটা জিনগত সমস্যা। এই রোগকে বলা হয় টেট্রিকুলার ফেমিনাইজেশন সিনড্রোম (টিএফএস)। প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে অপারেশনের পর তার শরীর থেকে পুরুষের অঙ্গগুলো অপসারণ করে অগাংকুর তৈরীসহ নারীর বিভিন্ন অঙ্গ তৈরী করা হয়েছে। এই অপারেশনে অধ্যাপক ডাঃ সামসুন নাহার লাকি, ডা. দিলীপ কুন্ডুসহ আমার কিছু সহযোগী ছিলো।

পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে মেয়েতে রূপ দেয়া হয়েছে। আমরা তাকে বিয়ে দেবো, সে সংসার করবে। অর্থাৎ সে একটি নতুন জীবন পাবে এটাই আমাদের প্রত্যশা। এছাড়া চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানানোসহ সকলের কাছে মেয়ের জন্য দোয়াও চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

ডা. নিরুপম মন্ডল সবশেষ বলেন, এরপর তার শরীরে হরমোন দেয়া হবে। ফলে পূর্ণাঙ্গ নারী রূপ লাভ করার পর এখন থেকে তিনি নারী অবোয়বের সবকিছুই পাবেন। এমনকি তিনি বিবাহও করতে পারবেন। তার নিয়মিত ঋতুস্রাবও হবে। তবে কখনওই গর্ভধারণ করতে পারবেন না। কেননা তার শরীরে ডিম্বাশয় কিংবা ডিম্ব নাড়ি নাই। এ ধরনের অপারেশন এ অঞ্চলে প্রথম। কেননা প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল ও কঠিন।

জানা যায়. ১৭ বছরের ওই মেয়েটি কলেজ পড়ুয়া এবং একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।

https://www.dailyjanakantha.com/bangladesh/news/686937?fbclid=IwAR0blProToUAxgaC07ge0_gt2stM4RJ__fl6N0McdAZ8CWOn-mPxqOkyb1k

No comments:

Post a Comment