শিশু শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ মাদ্রাসার শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয় ও মধুখালী থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ক্বারী শিক্ষক হাফেজ মো. হেদায়েত উল্লাহ মাদ্রাসায় এক শিশুকে বলাৎকার করেন। আরেক শিশু শিক্ষার্থী তা দেখে ফেলায় ওই শিক্ষক তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বলাৎকারের দৃশ্য দেখে ফেলায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা সদরের পূর্বগাড়াখোলা গ্রামে অবস্থিত মোহাম্মাদিয়া আসিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও মধুখালী থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ক্বারী শিক্ষক হাফেজ মো. হেদায়েত উল্লাহ মাদ্রাসায় এক শিশুকে বলাৎকার করেন। আরেক শিশু শিক্ষার্থী তা দেখে ফেলায় ওই শিক্ষক তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
হেদায়েত উল্লাহ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার পেরের চর গ্রামের মোহসিন মিয়ার ছেলে। আর হত্যার শিকার ৭ বছরের ইমান আলী মোল্যা মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের সমসকান্দী গ্রামের হৃদয় মোল্যার ছেলে। শিশুটি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামে নানা-নানীর কাছে থাকতো।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মাদরাসার সভাপতি হাজী আব্দুস সালাম মিয়া মোবাইল ফোনে জানান যে মোহাম্মাদিয়া আসিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আর হত্যাকারী শিক্ষককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ঢাকা-খুলনা মহাসড়েকের মাঝকান্দী এলাকা থেকে আরেক শিশু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
ওসি জানান, ধারণা করা হচ্ছে এক শিশু শিক্ষাথীকে বলাৎকারের দৃশ্য দেখে ফেলায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
https://www.newsbangla24.com/news/225921/A-child-was-strangled-to-death-after-seeing-Balatkars-scene
No comments:
Post a Comment