র্তমান সময়ে আমাদের দেশে সমকামিতা নামক প্রকৃতবিরুদ্ধ ও নিকৃষ্ট কাজটির প্রার্দুভাব বাড়ছে। এর প্রচার-প্রসারে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে হাবুডুবু খাওয়া কিছু পথভ্রষ্ট মানুষ বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরা বিভিন্ন এনজিও-এর ছত্রছায়ায় যুবকদেরকে এই অন্যায় কর্মে লিপ্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইতোমধ্যে বহু যুবক-যুবতি তাদের খপ্পরে পড়ে শুধু তাদের দ্বীনদারিতা ও চরিত্রকে ভূলুণ্ঠিত করেই ক্ষান্ত হয়নি; বরং পুরো জীবনটাকেই এক গন্তব্যহীন অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। সে কারণে আমার-আপনার সন্তানসহ আমাদের যুবসমাজকে রক্ষা করতে এ বিষয়ে সচতেনতা খুবই জরুরী। বাংলাদেশে কি সমকামিতা বৈধতা পাওয়ার পথে? বর্তমানে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৩৭৭ ধারা অনুসারে সমকামিতা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোনো পুরুষ, নারী বা পশু প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যৌনসংগম করে, তবে তাকে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে, অথবা বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্টকালের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে; যা ১০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে এবং এর সাথে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে’।
৩৭৭ ধারার ব্যাখ্যায় পায়ুসঙ্গমজনিত যে কোনো যৌথ যৌন কার্যকলাপকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে, পরস্পর সম্মতিক্রমে বিপরীতকামী মুখকাম ও পায়ুমৈথুনও উক্ত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। বাংলাদেশের বিয়ের আইনে একজন পুরুষ একজন নারীর সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে, সমলৈঙ্গিক বিয়ের কোনো স্বীকৃতি বাংলাদেশের আইনে নেই। কিন্তু গত ১২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন Justice Makers Bangladesh বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা[1] বাতিল করে সমকামিতাকে নিরপরাধিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট এর চিফ জাস্টিস এবং মাননীয় মন্ত্রী আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর কাছে পিটিশন করেছে।[2] এখন পর্যন্ত (২১ জুন ২০২৩) এই পিটিশনে ৫০০ জনের মধ্যে ২২৮ জন স্বাক্ষর করেছে।
Justice Makers Bangladesh ও এর প্রতিষ্ঠাতা শাহানুর ইসলাম এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে সমকামিতাকে লিগ্যাল করাতে ও LGBT Agenda নিয়ে কাজ করে আসছে। এছাড়া শাহানুর ইসলাম Bangladesh Institute for Human Rights (BIHR) এর Executive director, যা প্রকাশ্যে LGBT (lesbian, gay, bisexual, transgender) এর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে। এই সংগঠনটি গত ২২ জুন ২০২৩, ‘Critical Analysis of Violence against LGBTQI+ People in Bangladesh: Monitoring Online News Media in 2022’ শিরোনামে একটি রিসার্চ পেপার প্রকাশ করার কথা।[3] Report Out International ও the University of Sunderland কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘SaferToBeMe’ Symposium এ এটি পাবলিশ করা হয়। সিম্পোজিয়ামটিতে সমকামীদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করা হবে মর্মে জানা যায়। উল্লেখ্য, শাহানুর ইসলামই সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যে ডাচ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের সমকামীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিয়ে কথা বলেছে। সে USAID এর Prosecution Manager Ges international member of Amnesty International, এছাড়াও Frontline Defenders এ তার প্রোফাইল আছে, যা মানবাধিকার কর্মীদের একটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম।[4] Frontline Defenders ও সমকামীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার। শাহানুর ইসলাম এর রিচ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হাই লেভেলের। শাহানুর ইসলাম এর সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রমের দিকে নযর দিলেই এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, সে কাদের ব্যাকআপে বাংলাদেশে LGBT Agenda নিয়ে কাজ করছে। ১৭ মার্চ ২০২৩, ফ্রান্স প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কর্তৃক প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে বিশ্ব জুড়ে ১৪ জন মানবাধিকার কর্মীর জন্য একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনে শাহানুর ইসলাম অংশগ্রহণ করে। সেখানে সে বাংলাদেশে জাতিগত, ধর্মীয় ও যৌন সংখ্যালঘুদের (সমকামী) বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, সমকামিতার অপরাধীকরণ বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে তার সংগঠনকে আর্থিক, নৈতিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং তার এজেন্ডার প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থায়ন এবং তার দলের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার দাবি জানায়। ১১ মে, ২০২৩, বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আইনজীবীদের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। ইউরোপ মহাদেশের ৪৬টি রাষ্ট্রের ১০ লক্ষ আইনজীবীর প্রতিনিধিত্বকারী কাউন্সিল অব বারস এন্ড ল’ সোসাইটিস অব ইউরোপ (সিসিবিই) এর মানবাধিকার কমিটি ব্রাসেলসের হোটেল রেনেসাঁসে উক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান বক্তা ছিল শাহানুর ইসলাম। সে তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি যৌন সংখ্যালঘুদের (সমকামী) কথাও উল্লেখ করে। সিসিবিই এর মানবাধিকার কমিটির সভাপতি স্টিফেন ভন রাউমার উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। উক্ত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে পোলান্ডের জিডান্স বার এসোসিয়েশেনের সভাপতি ম্যাগডালেনা উইটকাওস্কা, সিসিবিই মানবাধিকার কমিটির লিগ্যাল এডভাইজার নাথান রুজবুক, লন্ডনের এসেক্স কোর্ট চেম্বারের ব্যারিস্টার হুগ মার্সার কিউসি, দি ল সোসাইটি অফ ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস, আন্তর্জাতিক পলিসি সহকারী পেট্রা স্টোজনিক ও ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশী মানবাধিকারকর্মী কমরেড মঈনুদ্দীন খান উপস্থিত ছিলেন।
৫ জুন ২০২৩, শাহানুর ইসলাম Dunja Mijatovic এর সাথে ফ্রান্সের স্ট্রার্সবার্গে দীর্ঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। Dunja Mijatovic হলেন, Human Rights of the Council of Europe এর কমিশনার। এছাড়াও সে ৯ জুন ২০২৩, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনের সদর দপ্তর উইলসন প্যালেসে তিন ঘণ্টাব্যাপী মানবাধিকার বিষয়ক সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে।[5] সংলাপটিতে জাতিসংঘ ও ফ্রান্সের বড় বড় মানবাধিকার কর্মী ও অ্যাম্বেসেডরসহ আরও বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার কর্মীরা অংশগ্রহণ করে। সেখানে শাহানুর ইসলাম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করে।
শাহানুর ইসলাম এর গুরু কারা তা বুঝতে আশা করি এতটুকুই যথেষ্ট হবে। আর সে এসব জায়গায় যে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কথা বলে, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।
এবার, সেকশন-৩৭৭ এর আলোচনায় ফিরে আসা যাক— নেপাল ২০০৭ সালে এই আইনটি বাতিল করে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে বাতিল করে এবং ভুটান ২০২১ সালে বাতিল করে। শ্রীলংকার এই আইনটি বাতিলের একটি বিল শ্রীলংকার পার্লামেন্টে বিচারাধীন রয়েছে এবং সম্প্রতি এটি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। নেপাল এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও সম্প্রতি সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মামলাগুলোর শুনানি করেছে, নেপালের আদালত সরকারকে এটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি আইন পাশ করার আহ্বান জানিয়েছে। এই আইন বাতিলের পর ভারত ও নেপাল সরাসরি সমকামী বিয়ে বৈধ করার পর্যায়ে চলে গেছে। বাংলাদেশে যদি সেকশন ৩৭৭ বাতিল করা হয়, তাহলে LGBT Movement এর পরবর্তী পদক্ষেপও এটাই হবে। এর পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে লিঙ্গ রূপান্তরের বৈধতা দেওয়া, জেন্ডার থিওরি প্রতিষ্ঠা, বাচ্চাদের স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রাইড মান্থ সেলিব্রেট করা, কেন সমকামিতা-পায়ুকামিতা ভালো সেটা বুঝানো, মনে মনে নিজেকে যা মনে করব আমি ঠিক তা-ই, আমার বায়োলজিক্যাল সেক্স যাই হোক আমি যদি নিজেকে নারী মনে করি, তাহলে আমি নারীই এবং আমাকে নারী বলে স্বীকার করতে আপনি বাধ্য- এরকম বিকৃত মানসিকতা ও যৌনতার প্রচার-প্রসার। আর এগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নে অনেক আগে থেকেই আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, USAID, জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো, UNDP, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সমকামীদের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। পানির মতো ডলার ঢালা হচ্ছে এসব এজেন্ডার পেছনে— বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে পুরো পৃথিবীব্যাপী LGBT কে ছড়িয়ে দিতে, প্রতিষ্ঠিত করতে এবং বৈধ করতে।
গত বছরের শেষের দিকে USAID বাংলাদেশকে ৩৫ Million Dollar দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন কাজের জন্য, যার মধ্যে একটা ছিল LGBT community কে সাপোর্ট করা।[6] ইউরোপের এম্বেসিগুলো বাংলাদেশের মাটিতে LGBT Flag উত্তোলন করছে এবং প্রাইড মান্থ সেলিব্রেট করছে। বাংলাদেশে জাতিসংঘ (United Nations–UN) এর অঙ্গসংগঠন UNDP কুখ্যাত জন মানি এর শয়তানী জেন্ডার থিওরি প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। তাদের Gender and Diversity নামে ২০১৮ সালে প্রকাশিত হেন্ডবুক এবং Gender Equality Strategy ২০২৩-২০২৬ এই দুইটা দেখলেই তাদের আসল এজেন্ডা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায়।[7] আমাদের পাঠ্যবইয়ে ইতোমধ্যে ঢুকে গিয়েছে LGBT এর বয়ান। Justice Makers Bangladesh এর মতো আরও অনেকগুলো সংস্থা বাংলাদেশেই কাজ করছে সমকামিতার প্রসার ও প্রতিষ্ঠার এজেন্ডা নিয়ে। দেশের প্রথম সারির বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া বারবার জন্মগত হিজড়াদেরকে Transgender (লিঙ্গরূপান্তরকারী) নামে প্রচার করছে। যেই সকল হিজড়া LGBT এজেন্ডার সাথে একমত ও সাপোর্টার, তাদেরকে দেশের বিভিন্ন বড় বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং প্রমোট করা হচ্ছে, আইকন হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে (ঢাবিতে এমফিল এ চান্স পাওয়া সঞ্জীবনী সুধা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ)। দেশের বাইরে থাকা অনেক এক্টিভিস্টরা সমকামিতাকে সমর্থন ও প্রমোট করছে (যুলকারনাইন সামি এর উদাহরণ)। সার্বিক বিবেচনায় এখন আমরা খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশে সেকশন ৩৭৭ বাতিল হয়ে গেলে LGBT এর এই ঝড়কে আর থামানো যাবে না। ত্বরিত গতিতে ছড়িয়ে পড়বে পুরো দেশজুড়ে। তাই বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম, বক্তা, দাঈ, ইমাম, খত্বীব, অনলাইন এক্টিভিস্ট, ইসলামিক দল ও সংগঠন, লেখক, অভিভাবক ও সর্বস্তরের সাধারণ মুসলিমদেরকে সোচ্চার হতে হবে এখনই। Justice Makers Bangladesh এবং শাহানুর ইসলামকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে। সমকামিতা নিষিদ্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি বাংলাদেশে অনলাইন-অফলাইনে সমকামিতার প্রচারের বিরুদ্ধেও আইন প্রণয়ন করার দাবি তুলতে হবে, LGBT Agenda এর ব্যাপারে অভিভাবক ও তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। মোটকথা, LGBT এর বিরুদ্ধে আমাদেরকে এখনই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়তে হবে। যা যা করা প্রয়োজন, তা করতে হবে। মনে রাখবেন, এটা একটা মানবিক যুদ্ধ। মানবসভ্যতা ও মুসলিম উম্মাহকে বাঁচাতে শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমি জানি না, এই এজেন্ডার মতো এত বড় আঘাত মানবসভ্যতার উপর পৃথিবীর ইতিহাসে আর কখনো এসেছে কিনা। LGBT AGENDA এর এই নীল নকশা ইবলীস নিজেই তৈরি করেছে এবং মানুষদের মধ্য থেকে তার একান্ত অনুগত শয়তানদেরকে এটি ছড়িয়ে দিতে ও প্রতিষ্ঠা করতে কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে। ভারতে সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে ভারত জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাহলে মুসলিমদের কাছে আর কি অজুহাত থাকতে পারে?! আমাদের পবিত্র দ্বীন আমাদের কাছে কি এই অপবিত্র এজেন্ডার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার দাবি করে না?
ইসলামে সমকামিতা (homosexuality) তথা পুরুষের সাথে পুরুষ অথবা নারীর সাথে নারীর যৌনর্কমে লিপ্ত হওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, কাবীরা গুনাহ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটি যেনার থেকেও নিকৃষ্ট। কেননা তা প্রকৃতি বিরুদ্ধ যৌনাচার এবং মানবতা-বিধ্বংসী আচরণ। মানবজাতির পরিবার গঠনের স্বাভাবিক নিয়ম হলো, একজন পুরুষ একজন নারীকে বৈধভাবে বিয়ে করার পর তারা দাম্পত্য জীবন গঠন করবে। অতঃপর স্বামী-স্ত্রী মধুর মিলনে স্ত্রী গর্ভধারণ করবে ও সন্তান জন্ম দিবে। অতঃপর বাবা-মা সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিবে। এই তো হলো একটি সুন্দর মানবজীবন গঠন প্রক্রিয়া। এভাবে মানবসন্তানের বংশবিস্তার ঘটবে এবং ফুলে-ফলে সুশোভিত হবে এই সুন্দর বসুন্ধরা। কিন্তু সমকামিতা হলো, প্রকৃতিবিরুদ্ধ ও ধ্বংসাত্মক কাজ এবং মানবজাতির বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধক।
মেয়ে মানুষ সমকামী হয়? বিজ্ঞানীরা সমকামিতার প্রকৃত কারণ জানেন না, কিন্তু তারা ধারণা করেন যে, জন্মগত, হরমোনগত এবং পরিবেশগত কারণসমূহের এক জটিল আন্তঃক্রিয়ার ফলে এটি ঘটে থাকে।[8] তবে কিছু মানুষ স্বাভাবিক যৌন চাহিদা তথা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি স্বাভাবিক যৌন আর্কষণ থাকার পরও বিকৃত মানসিকতার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে সমকামিতায় লিপ্ত হয়।
ইসলাম সমকামিতার পথ বন্ধ করেছে যেভাবে :
ইসলাম সমকামিতার পথ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে। যেমন— আবূ সাঈদ খুদরী রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,لاَ يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَلاَ الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَلاَ يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ وَلاَ تُفْضِي الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ‘এক পুরুষ অপর পুরুষের লজ্জাস্থানের দিকে তাকাবে না। তেমনি এক নারী অপর নারীর লজ্জাস্থানের দিকে তাকাবে না। দু’জন পুরুষ এক কাপড়ের নিচে ঘুমাবে না। তেমনি দু’জন নারী এক কাপড়ের নিচে ঘুমাবে না’।[9] অন্য হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, ইবনু মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,لاَ تُبَاشِرُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ فَتَنْعَتهَا لِزَوْجِهَا كَأَنَّهُ يَنْظُرُ إِلَيْهاَ ‘এক নারী অপর নারীকে স্পর্শ করবে না, যাতে সে তার স্বামীকে ঐ নারীর অঙ্গের বিবরণ এমনভাবে দিতে পারে, যেন তার স্বামী ঐ নারীকে চাক্ষুষ দেখতে পাচ্ছে’।[10] এ দুটি হাদীছে ইসলাম সমকামিতার মতো ভয়াবহ ও ঘৃণিত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে সমকামিতার ভয়াবহতা :
নিঃসন্দেহে সমকামিতা ধ্বংসাত্মক ও অভিশপ্ত পাপকর্ম, আল্লাহর শাস্তির কারণ ও মানবতা বিধ্বংসী অপরাধ। নিম্নে কুরআন-সুন্নাহ ও প্রচলিত আইনের আলোকে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো :
(১) সমকামিতা আল্লাহর আযাবে ধ্বংস হওয়ার অন্যতম একটি কারণ : লূত সম্প্রদায়ের লোকজন সমকামিতায় লিপ্ত হলে মহাশক্তিধর আল্লাহ তাদেরকে কীভাবে ধ্বংস করেছেন, তা ফুটে উঠেছে এই আয়াতে,﴿فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَةً مِّن سِجِّيلٍ مَّنضُودٍ﴾ ‘অতঃপর যখন আমার আদেশ আসলো, তখন আমি জনপদের উপরিভাগকে নিম্নভাগে পরিণত করলাম এবং তার উপর বর্ষণ করি স্তূপীকৃত শুকনো কাদা-মাটির পাথর’ (হূদ, ১১/৮২)। জর্ডানে অবস্থিত ‘ডেড সি’ (The Dead Sea) বা মৃত সাগর আজও ইতিহাসে সেই ভয়াবহ ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়ে আছে!
(২) সমকামিতা একটি অভিশপ্ত র্কম : হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,لَعَنَ اللَّهُ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ لَعَنَ اللَّهُ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ ثَلاثًا ‘আল্লাহ লা‘নত করুন ঐ ব্যক্তিকে, যে ব্যক্তি লূতের সম্প্রদায়ের কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত হয়। আল্লাহ লা‘নত করুন ঐ ব্যক্তিকে, যে ব্যক্তি লূতের সম্প্রদায়ের কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত হয়’। এ কথা তিনি তিনবার বলেছেন।[11]
(৩) তাছাড়া সমকামিতাকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীগণ প্রাণঘাতী এইডস সহ নানা জটিল ও কঠিন রোগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ইসলামী আইনে সমকামিতার শাস্তি :
ইসলামের ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী সমকামিতার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ ‘যাকে তোমরা লূত সম্প্রদায়ের কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত দেখবে, তবে যে সমকামী ও যার সাথে সমকামে লিপ্ত হয়, উভয়কেই হত্যা করবে’।[12] আল্লামা ইবনে বায রহিমাহুল্লাহ বলেন,
أن حكمه القتل الذي عليه أصحاب الرسول صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وقد أجمعوا جميعًا على قتل اللوطي مطلقًا، سواء كان بكرًا، أو ثيبًا. بعض الفقهاء قالوا: إنه كالزاني يرجم المحصن، ويجلد البكر مائة جلدة، ويغرب عامًا، ولكنه قول ضعيف.
‘সমকামিতার শাস্তি হলো হত্যা। এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ছাহাবীদের সম্মিলিত অভিমত রয়েছে। তারা সকলেই একমত যে, সর্বাবস্থায় সমকামীকে হত্যা করতে হবে; চাই সে বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত হোক। কতিপয় ফক্বীহ বলেন যে, সমকামিতার শাস্তি যেনার মতোই; বিবাহিত হলে তার শাস্তি পাথর মেরে হত্যা করা হবে, আর অবিবাহিত হলে ১০০ বেত্রাঘাত ও এক বছর দেশান্তর। কিন্তু এটি দুর্বল অভিমত’।[13] অবশ্য যদি কারও সাথে জোরপূর্বক সমকামিতা করা হয় বা যার সাথে এই অন্যায় করা হয়েছে সে যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু বা পাগল হয়, তাহলে তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে না।
প্রচলতি আইনে সমকামিতার শাস্তি :
অধিকাংশ সমাজে এবং সরকার ব্যবস্থায় সমকামী আচরণকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদশে (১০ বছর থেকে শুরু করে আমরণ সশ্রম কারাদণ্ড) সহ দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের সংবিধানে ৩৭৭ ধারা এবং ১৯টি দেশে সমর্পযায়ের ধারা এবং সম্পূরক ধারা মোতাবেক সমকামিতা ও পশুকামিতা প্রকৃতিবিরোধী যৌনাচার হিসেবে শাস্তিযোগ্য ও দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ। বাংলাদেশে দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা মোতাবকে পায়ুমৈথুন শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ, যার শাস্তি ১০ বছর থেকে শুরু করে আজীবন কারাদণ্ড এবং সাথে জরিমানাও হতে পারে।
কেউ যদি জন্মগতভাবে সমলিঙ্গের দিকে আর্কষণ অনুভব করে, তাহলে তার করণীয় কী?
সৃষ্টিগতভাবে কারো মধ্যে সমলিঙ্গের দিকে আর্কষণ থাকলে তাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহ তাকে এমনটি করেছেন তার প্রতি পরীক্ষা হিসেবে। যেমন অনেক প্রতিবন্ধী মানবিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কারও চোখ নাই, কারও কথা বলার ক্ষমতা নাই, কেউ বা কানে শুনে না ইত্যাদি। ঠিক তেমনি সে ব্যক্তিও নারীর প্রতি স্বাভাবিক যৌন আর্কষণবোধ থেকে বঞ্চিত। যাহোক, কোনো ব্যক্তি যদি সমলিঙ্গের প্রতি যৌন আর্কষণ অনুভব করে, তাহলে এ থেকে বাঁচার জন্য তার জন্য নিম্নে আটটি করণীয় তুলে ধরা হলো :
(১) সে আল্লাহর ভয় ও জাহান্নামের শাস্তির কথা চিন্তা করে ধৈর্যধারণ করবে এবং এ জঘন্য গুনাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবে। কোনোভাবেই সমলিঙ্গের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে না। যদি সে ধৈর্যধারণ করতে পারে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে আখেরাতে মহাপুরস্কারে ভূষিত করবেন। আল্লাহ তাআলা বলনে,﴿أُولَـٰئِكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوا وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلَامًا - خَالِدِينَ فِيهَا حَسُنَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا ‘তাঁরা যে ধৈর্যধারণ করেছেন, সেজন্য তাদেরকে প্রতিদান হিসেবে (জান্নাতে) প্রাসাদ দেওয়া হবে এবং তারা তথায় সম্ভাষণ ও সালাম প্রাপ্ত হবেন। তথায় তারা চিরকাল থাকবেন। অবস্থানস্থল ও বাসস্থান হিসেবে তা কত সুন্দর!’ (আল-ফুরক্বান, ২৫/৭৪-৭৫)।
(২) সর্বদা আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগ্রত রাখবে। মনে রাখা দরকার যে, আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্বিয়ামতের মাঠে আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে। তখন আমরা যত অন্যায় ও পাপর্কম করেছি, সবকিছুই প্রকাশিত হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন,﴿يَوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ أَلْسِنَتُهُمْ وَأَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ‘যেদিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করত, সে ব্যাপারে’ (আন-নূর, ২৪/২৪)।
(৩) যদি বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মোটেই আকর্ষণবোধ না থাকার কারণে বিয়ে করা সম্ভব না হয় অথচ প্রচণ্ড যৌনবাসনা অনুভব করে, তাহলে করণীয় হলো, ছিয়াম রাখা। কেননা ছিয়ামের মাধ্যমে যৌনবাসনা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
(৪) কখনো একাকী নিভৃতে না থাকা। কেননা একাকিত্ব যৌনচিন্তা জাগ্রত করে; বরং যে কোনো দ্বীন বা দুনিয়ার উপকারী কাজে ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করতে হবে। যেমন: নেক আমল করা, কুরআন তেলাওয়াত করা, কুরআনের তাফসীর পড়া, কুরআন মুখস্থ করা, যিকির করা, ছালাত পড়া, ইসলামী বই পড়া, ভালো আলেমদের লেকচার শোনা, শিক্ষণীয় ও উপকারী কোনো কোর্স করা, জনকল্যাণমূলক কাজ আঞ্জাম দেওয়া, শখের কাজ করা (যদি তা হারাম না হয়) ইত্যাদি।
(৫) পাপিষ্ঠ ও খারাপ লোকদের সংশ্রব থেকে দূরে থাকা। কারণ মানুষ সঙ্গদোষে অন্যায় ও অশ্লীল পথে পা বাড়ায়।
(৬) যৌন উদ্দীপক মুভি, মিউজিক ভিডিও, গান, টিভি শো ইত্যাদি না দেখা এবং অশ্লীল গল্প-উপন্যাস না পড়া।
(৭) যৌনবাসনাকে উদ্দীপ্ত করে এমন খাওয়া-দাওয়াও সীমিত করা দরকার। কেননা এসব খাদ্যের প্রভাবে শরীরে যৌন চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
(৮) তারপরও মনে খারাপ চিন্তা জাগ্রত হলে তৎক্ষণাৎ শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা তথা আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তনির রজীম পাঠ করা কর্তব্য।
(৯) সর্বোপরি মহান আল্লাহর নিকট নিজের সমস্যা থেকে মুক্তি চেয়ে দু‘আ ও আরাধনা করা।
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে সকল প্রকার পাপাচার ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে রক্ষা করুন- আমীন!
সহকারী অধ্যাপক (বিসিএস সাধারণ শিক্ষা), সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা।
[1].https://bn.wikipedia.org/.../%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82...
[2]. সমকামিতা নিরপরাধিকরণ চেয়ে পিটিশন-
https://twitter.com/Justice.../status/1658410661519454209...
[3].BIHR এর রিসার্চ পেপার প্রকাশ সংক্রান্ত- https://www.facebook.com/BIHR.BD/
[4]. Frontline Defenders এ শাহানুর ইসলাম এর প্রোফাইল- https://www.frontlinedefenders.org/.../shahanur-islam...
[5]. শাহানুর ইসলামের ৪ সম্মেলন-
ক. ১৭ মার্চ, ২০২৩,
https://twitter.com/Justice.../status/1637457342202617857...
খ. ১১ মে, ২০২৩,
https://twitter.com/Justice.../status/1657382006416654336...
গ. ৫ জুন, ২০২৩,
https://twitter.com/Justice.../status/1665792817606676484...
ঘ. ৯ জুন, ২০২৩,
https://twitter.com/Justice.../status/1668236344429035524...
[6]. USAID এর ৩৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা— https://globalbangla.tv/.../usaid-awarding-35-million-to.../
[7]. UNDP Publication: (i) Geder and Diversity: https://www.undp.org/.../handbook-gender-and-diversity. (ii) Gender Equality Strategy 2023-2026: https://www.undp.org/.../publica.../gender-equality-strategy. https://twitter.com/Justice.../status/1665792817606676484.N| 9 Ryb 2023t
https://twitter.com/Justice.../status/1668236344429035524...K| Geder and Diversity: https://www.undp.org/.../handbook-gender-and-diversity. L| Gender Equality Strategy 2023-2026: https://www.undp.org/.../publica.../gender-equality-strategy.
[8]. উইকিপিডিয়া।
[9]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৩৮; মিশকাত, হা/৩১০০।
[10]. ছহীহ বুখারী, হা/৫২৪০; মিশকাত, হা/৩০৯৯।
[11]. মুসনাদ আহমাদ, হা/২৯১৫, শায়খ শুআইব আরনাউত হাদীছটিকে হাসান বলেছেন।
[12]. তিরমিযী, হা/১৪৫৬, হাদীছ ছহীহ; ইবনু মাজাহ, হা/২৫৬১; মিশকাত, হা/৩৫৭৫।
[13]. শায়খের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে গৃহীত।
No comments:
Post a Comment