Wednesday, July 26

গোপনাঙ্গ কেটে আইনজীবী খুন: নারীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড


চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় গোপনাঙ্গ কেটে অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাপ্পিকে খুনের ঘটনায় এক নারীসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

একই রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন মামলার রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেচার আহমেদ।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাশেদা বেগম ও হুমায়ুন রশীদ। যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন আকবর হোসেন ওরফে রুবেল ওরফে সাদ্দাম, মো. পারভেজ ওরফে আলী এবং আল আমিন। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন জাকির হোসেন প্রকাশ মোল্লা জাকির।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানে আলীকদমের চৌমুহনী এলাকার ওমর ফারুক বাপ্পি আইন পেশায় যুক্ত হন ২০১৩ সালে। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে চকবাজার থানার কে বি আমান আলী সড়কের একটি ভবনের নিচতলা থেকে বাপ্পির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার হাত ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো, পা লাল ফিতা দিয়ে বাঁধা ও গোপনাঙ্গ কাটা ছিল। এই ঘটনায় নিহতের বাবা আলী আহমেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার দুদিন পর চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।


এই মামলায় ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, স্বামীর মামলার সুবাদে দেলোয়ার নামের এক ইয়াবা পাচারকারী স্ত্রী রাশেদা বেগমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয় বাপ্পির। এক পর্যায়ে তারা দুই লাখ টাকা দেনমোহরে গোপনে বিয়ে করেন। ঘটনার দুদিন আগেই স্বামী-স্ত্রী থাকবেন জানিয়ে কে বি আমান আলী সড়কের ওই বাসা ভাড়া নেন রাশেদা। কাবিনে দেনমোহর অল্প হওয়ায় স্ত্রীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন বাপ্পি। তাই দেনমোহর বাড়িয়ে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা করার পরিকল্পনা করেন রাশেদা। সেজন্য হুমায়ুন নামের এক বন্ধুর মাধ্যমে চার যুবককে ভাড়া করেন তিনি। পরিকল্পনানুযায়ী খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না দেয়ায় আসামিদের সহযোগিতায় বাপ্পিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রাশেদা।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট কেশব চন্দ্র নাথ বলেন, ‘আইনজীবী হত্যার ঘটনায় পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর আসামিদের বিচার শুরু হয়। বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।’
https://www.dainikbangla.com.bd/wholebd/27234?fbclid=IwAR2QnT6PUwS5k5E6TvbBDeu9Q5ljfwVyZKZS-wDZUuK9yPIuO9_5XMnaF0A

No comments:

Post a Comment