রোববার (১৩ আগস্ট) বিকালে পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, চরভদ্রাসন থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) শিমন খান, এএসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম মুন্সী ও কনেস্টেবল মো. সাব্বির হোসেন।
পুলিশ সদর দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফরিদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে আরও দুজনকে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলা পরিষদের সামনে আবদুর রব মোল্লা নামে ওই ব্যক্তির একটি ফাস্টফুডের দোকান পরিচালনা করেন। রব মোল্লার ভাষ্যমতে, এএসআই শিমন তার দোকানে এসে ২০ শলাকার বড় এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট বদলে ১০ শলাকার করে দুটি ছোট প্যাকেট দিতে বলেন। কিন্তু দোকানে ছোট প্যাকেট না থাকায় সিগারেটের প্যাকেট বদলে দিতে পারবেন না বলে জানান। এ সময় তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। পরদিন তারা দোকানে এসে রব মোল্লাকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে নির্যাতন চালায়।
এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চরভদ্রাসন থানার এএসআই শিমনসহ কয়েকজন আব্দুর রব মোল্লার ফাস্টফুডের দোকানে গিয়ে তাকে মারতে মারতে বের করে নিয়ে যায়। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগে বলেন, থানায় নিয়ে গারদে আটকে তার ওপর অমানবিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাকে রোলার ও লাঠি দিয়ে গুরুতর পেটানো হয়। একপর্যায়ে তার নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এএসআই শিমন।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতর জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ সেবাধর্মী একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান। কোনো পুলিশ সদস্যের দুর্নীতি বা অসদাচরণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন অপেশাদার আচরণের জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। অপেশাদার আচরণের জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হয় না বলেও জানানো হয়।
https://www.shomoyeralo.com/details.php?id=233920
No comments:
Post a Comment