Sunday, August 27

মাদ্রাসা শিক্ষকের বলৎকারের শিকার হয়ে শিশুর মৃত্যু

পটুয়াখালীতে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের লালসার শিকার হয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্র শিশু আল রাফি (১২) কে বিভিন্ন কৌশলে প্রায়ই বলৎকার করতো মাদ্রাসা পরিচালক কাম শিক্ষক হাফেজ সেলিম গাজী (৪০)। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই শিশু মারা যায়। শিশুটি ওই মাদ্রাসায় থেকেই পড়াশুনা করত।

গত দুই সপ্তাহ আগে শিশুটি পেটের ব্যথাসহ নানা ব্যাধিতে অসুস্থ্য হয়ে পরে। এরপর তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখান থেকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। রাফি শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এ ঘটনা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাতেঁরকাঠী ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিল্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার। নিহত শিশু আল রাফি উপজেলার নাজিরপুরের বড়ডালিমা গ্রামের খালিফা বাড়ির রেজাউল আকনের ছেলে। ওই মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের ছাত্র ছিল এবং মাদ্রাসায় থেকেই লেখাপড়া করত সে।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় বাউফল থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আল রাফি উপজেলার বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিল্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা এবং এতিম খানার হাফেজিয়া বিভাগের ছাত্র ছিল। মাদ্রাসারটির পরিচালক কাম শিক্ষক শিশু আল রাফিকে ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘ মাস ধরে বলৎকার করতো। গত তিন সপ্তাহ আগে শিশুটি পেটের ব্যথাসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে বিষয়টি তার মা বাবাকে জানায়।

এরপর তারা শিশুটিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে সেখানের চিকিৎসকরা জনিয়েছেন শিশু রাফির মলদারে ক্যান্সার হয়েছে। যা ওর শরীরের রক্তে ছড়িয়ে পড়েছে।

এরপর ওকে ভর্তি করা হয় জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনষ্টিটিউট হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার সময় শিশু আল রাফির মৃত্যু হয়।

শিশু রাফির বাবা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমার সন্তানটিকে দিলাম হাফেজ হতে, সে হয়ে গেলো লাশ। আমি এই হত্যার বিচাই চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালক কাম শিক্ষক হাফেজ সেলিম গাজী পলাতক ও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মহসিন বলেন, আমি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। এ বিষয়ে সকল প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

https://www.news24bd.tv/details/144213?fbclid=IwAR0f7L4c3rEDtLdqSTXj4PeMDTOaly1N4FHSdxlXZVvIZGcjAJTasG-Zy9o

No comments:

Post a Comment