ঢাকাস্থ খিলগাঁও গোরানের স্বনামধন্য ট্রান্সজেন্ডার শিল্পোদ্যোক্তা ও আমাদের ভাবনা এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান সিনথিয়া ভুইয়া নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ মনোনীত হয়েছেন।
সাউথ এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ ও নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির যৌথ আয়োজনে আগামী ২৩ শে নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচ ঘটিকায় হিমালয় কণ্যা নেপালের কাঠমান্ডু শহরের হোটেল তামান পার্ক এর বলরুমে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিনথিয়া ভুইয়াকে নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আন্তর্জাতিক এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ ও নেপালের সংস্কৃতিকে তুলে ধরবেন দু দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা।
আয়োজকরা সিনথিয়া ভুইয়ার মানবিক ও সাহসী কাজের এই স্বীকৃতির জন্য নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এ্যাওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত করায় মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।।
জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশ বরেণ্য শিল্পোদ্যোক্তা ও মানবতার সেবক সিনথিয়া ভুইয়া আশা প্রকাশ করেছেন আগামী ২৩ নভেম্বর তিনি নেপালের এই বিরল সম্মাননা গ্রহন করবেন।
বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে
দেশের বরেণ এই বিশিষ্ট ট্রান্সজেন্ডার সমাজ সেবক তাঁর সমাজ ও মানব সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ হতে এই পুরস্কারে মনোনীত হলেন।
তিনি ইতোমধ্যে সমাজ ও মানব সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ভারত হতে মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড, মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড, শেরে বাংলা ফজলুল হক সম্মাননা ও ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সম্মাননা, মুজিব শতবর্ষ সম্মাননা সহ একাধিক সম্মাননা লাভ করেছেন।
অত্যান্ত বিনয়ী, মানবিক ও স্বল্পভাষী মানবতার বন্ধু সিনথিয়া ভুইয়া করোনা মহামারি কালীন সময়ে মানবতার পাশে দাড়িয়ে মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেন। তাঁর সামাজিক ও ব্যবসায়িক নেতৃত্বের গুণাবলীর কারনে সমগ্র বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
তিনি ২০১৭ সালে একবুক আশা ও অদম্য আগ্রহ নিয়ে তার পথ চলা শুরু করেন। চেষ্টা করেন নিজ পায়ে দাঁড়াত, হয়ে উঠন শিল্পোদ্যোক্তা। সকলের সহযোগিতা, নিজ মেধা ও শ্রমদিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান এনজিও ব্রাক প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব পরম শ্রদ্ধেয় সার ফজলে হাসান আবেদ এবং তার সুযোগ্য কন্যাও সফল নারীদের আইকন তামারা হাসান আবেদ এর সহযোগিতায় ও আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে দিন দিন সাফল্যের শিখরে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রান্সজেন্ডার শিল্পোদ্যোক্তা সিনথিয়া ভুইয়া।
বর্তমানে সারাদেশে তিন হাজারেরও অধিক সুবিধাবঞ্চিত কর্মচারীর কর্মসংস্থান করে যাচ্ছেন সিনথিয়া ভুইয়া ।
সারাদেশে তার অনেকগুলো শাখা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশেষ করে সাভারে দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করে, কক্সবাজারের রামু, কক্সবাজার সদর, লামায়, কুমিল্লায়, নরসিংদীর প্রতিষ্ঠানেও প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করছে।
ব্যক্তি জীবনে দুই ভাই ও দুই বোনের সংসারে সিনথিয়া ভূঁইয়া নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীতে হিজরাদের একটি আইকনে প্রণীত হয়েছেন।
তিনি তার পরমপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয় পিতা কে হারান ১৪ বছর আগে ও আর গর্ভধারীনি মাকে হারান ৯ বছর পূর্বে।
তিনি মা-বাবাকে হারিয়ে অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিত ও ট্রানজান্ডারদের মা বাবায় পরিণত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দিনরাত।
তিনি বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে স্থান করবেন এবং তাদেরকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবেন ও সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাবেন।
পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও উপকূলীয় অঞ্চলে শিক্ষার আলো বঞ্চিত অসহায় জনগোষ্ঠীকে পড়ালেখা ও কাজ শিখিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নে দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছেন,
সিনথিয়া ভূঁইয়া।
তিনি ইতিমধ্য অস্ট্রেলিয়া ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত সহ ব্যবসায়িক সামাজিক কাজে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন।
তিনি বিশ্বাস করেন এ সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় লিঙ্গকে ভোটাধিকার, মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চান।
তিনি এমপি নির্বাচিত হলে
লক্ষাধিক হিজড়া ও ট্রানজেন্ডার জনগোষ্ঠীকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
তিনি ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য অন্তত একটি আসন সংরক্ষিত করে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান।
সিনথিয়া ভুইয়ার একটাই ভাবনা
হিজরাদের অন্যায় ও অত্যাচার থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দেয়া, দিনের পর দিন তাদের বেড়ে চলা উৎপাত বন্ধ কর।
তিনি আরো বলেন
ঘরে বাইরে, রাস্তা ঘাটে, গাড়িতে, নদীপথে, সবজায়গায় হিজরাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট ও খুবই বিব্রত বোধ করেন।
সিনথিয়া ভুইয়া এর পরিকল্পনা ও স্বপ্ন হলো হিজরাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
তাকে তাঁর জীবনবোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন
তার জ্ঞান-বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই নিজের ভেতর ‘অন্য এক আমির অস্তিত্ব খুঁজে পান তিনি। পরিবার তার পাশে থাকলেও সামাজিক ভাবে পদে পদে হেয় হতে হয়েছে সিনথিয়াকে। তারপরও দমে যাননি তিনি। অদম্য শক্তির ওপর ভর করে নিজেই কিছু করার স্বপ্ন বুনন শুরু করেন তৃতীয় লিঙ্গের সিনথিয়া।
সামাজিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে এদেরই একজন সিনথিয়া হয়ে উঠেছেন সফল উদ্যোক্তা তার মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে সুবিধাবঞ্চিত হাজার হাজার মানুষের।
তিনি আরো বলেন সকল কর্মী ও সুপারভাইজার নিয়ে যেন একটি ভূইয়া ফ্যাশন পরিবার। সিনথিয়া ভুইয়ার এই পরিবারের জন্য সবাই দোয়া করবেন এই কর্মচারী সুপারভাইজারদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে ভূঁইয়া ফ্যাশন এখানে এসে দাঁড়িয়েছে এমনকি সম্মানের সহিত চলছে সবাই দোয়া করবেন আমার সুপারভাইজারদের জন্য এবং ফিল্ডের সুপারভাইজারদের জন্য এমনকি আমার যত কর্মী ভাই-বোনরা আছে তাদের জন্য।
No comments:
Post a Comment