Saturday, November 25

মোহাম্মদপুরে জোর করে দুই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বলৎকার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি মাদ্রাসায় জোর করে দুই শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই দুই শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়ে পরলে বিষয়টি পরিবারের কাছে খুলে বলে। পরে বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগী শিশুদের পরিবার মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করে, মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজ হক।

গত (১৬ নভেম্বর) মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় ৩ নম্বর রোডের বি ব্লক এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া নুরুল কোরআন নামক মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।ভূক্তভোগী শিশুদের স্বজনরা জানান, বাসার পাশেই আমাদের সন্তানদের একটি কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি। হঠাৎ করে আমাদের সন্তানরা বাসায় অসুস্থতা নিয়ে আসে। এ সময় তাদের শরীরের অসুস্থতা বিষয়ে আমাদের খুলে বলে। তাদেরকে টানা ১ সপ্তাহ মাদ্রাসায় আটকে রেখে বলৎকার করা হতো।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায় একই ভবনে রয়েছে দুটি মাদ্রাসা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ওই ঘটনা এটাই প্রথম না। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এর আগেও ২য় তলার মাদ্রাসাটিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। এবারের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় মাদ্রাসাটি আপাতত বন্ধ আছে। 

এ ঘটনায় দু'জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর  থানায় মামলা হয়, এরা হচ্ছে হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর (৩৫) হাফেজ মো: সালাউদ্দিন (প্রিন্সিপাল)  (৪৫)  মামলা সূত্রে জানা যায় অন্যান্য ছাত্ররা যখন ঘুমে থাকে তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেকদিন যাবৎ সিসি ক্যামেরার আড়ালে ২য় তলার একটি রুমে নিয়ে জোর পূর্বক বলৎকার (ধর্ষণ) করে কয়েকটি ১০/১২ বছরের শিশুকে। এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে দেয় মাদ্রাসা শিক্ষক। যদি এই ঘটনা কাউকে জানায় তবে তাদের প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন কয়েক শিশু, যাঁর তথ্যের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে এই প্রতিনিধির হাতে। তবেঁ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’টি শিশু তাদের  অবিভাবকদের জানালে তারা আইনি সহায়তা চেয়ে থানায় মামলা করে। 

সূত্রে আরো জানা যায়  গত ইং ১৬ নভেম্বর  সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকায় ভুক্তভোগী শিশু দুটিকে চলতি মাসের  ১৭ নভেম্বর  সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকায় সিসিটিভির আড়ালে ২য় তলার একটি রুমে নিয়ে জোরপূর্বক বলৎকার করে শিক্ষক আবু বক্কর। বিষয়টি প্রিন্সিপাল কে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভুক্তভোগী শিশুরা বলেন, তাদের এ ঘটনা কাউকে না বলার ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি এক সপ্তাহ ফ্রী খাওয়ানোর ও পাঞ্জাবি,নতুন টুপি কিনে দেওয়ারও আশ্বাস দেন প্রিন্সিপাল। এ বিষয় মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজ হক ভূঁইয়া বলেন গত ২২ নভেম্বর শিশু দু’টির অবিভাবক থানায় এসে এ ঘটনা বললে ৯ এর ১ ধারায় মামলা নিয়েছি, মামলা নং ৬৯ অভিযুক্ত ব্যক্তীরা পলাতক আছে, আমরা আসামি গ্রেফতারের চেষ্টায় আছি, অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।  এ-বিষয় নিচতলার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কামরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি বলৎকারের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি তবেঁ বিস্তারিত কিছুই জানি না। আপাতত ২য় তলার মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে। মোহাম্মদপুর থানায় খোঁজ নিলে জানতে পারবেন।

https://www.dailysokalersomoy.com/news/84453?fbclid=IwAR02LyA6hUPV5p3LNKbnnZWwYlpQSmVK15bL6M5qCnQyDZtvsBCFsAfdA-E

No comments:

Post a Comment