Tuesday, January 10

চাঁদাবাজির মামলায় ৪ হিজরা খালাস, উপহার পেলেন কম্বল

ঢাকা: চাঁদাবাজির এক মামলায় চার হিজরাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাস দেওয়ার পর বিচারক হিজরাদের প্রত্যেকে একটি করে কম্বলও উপহার দিয়েছেন।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্টোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ রায় প্রদান করেন। এ সময় কম্বল উপহার দেন তিনি। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আলো হিজড়া (২৮), শারমিন হিজড়া (২৩), মিম হিজড়া (৩০) ও রুমা হিজড়া (২৫)।

খালাস ও কম্বল দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান। তিনি বলেন, ‘মামলাটিতে বাদী সাক্ষী দিতে আসেনি। সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষী দিতে এসেছিলেন। আদালত এদিন সকালের দিকে তার সাক্ষ্য নিয়ে বিকাল ৩টায় আসামিদের খালাসের আদেশ দেন।’

২০২২ সালের ১৪ আগস্ট মামলাটি করেন উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুর রহিম (৫৯) নামে জনৈক এক ব্যক্তি। জানা যায়, গত সাত মাস পূর্বে বাদীর মেয়ে রোকসানা আক্তারের (২৬) কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর নাতনিসহ মেয়ে বাদীর বাসায় বেড়াতে আসেন। এছাড়া ২০২২ সালের ৬ আগস্ট বাদীর বাসার তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া তানিয়া আক্তারের (২০) একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ২০২২ সালের ১১ আগস্ট প্রায় ৪/৫ জন হিজড়া বাদীর বাড়িতে এসে দুই পরিবারের কাছে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাদী বাসায় না থাকায় তারা পরে আসবে বলে জানায়। এরপর ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট সকাল ১০টায় আসামিরা বাদীর বাসার নিচে জড়ো হয়ে হৈচৈ করে এবং দারোয়ান আক্তার হোসেনের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।


বিজ্ঞাপন

এ সময় নিষেধ করলে তারা দারোয়ানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বাসার পাঁচ তলায় উঠে বাদীর ফ্ল্যাটের দরজায় লাথি মারতে থাকে এবং বাইরে বের হয়ে আসার জন্য হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। বাদী যদি তাদের দাবি অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা না দেয়, তাহলে তারা বাদীর নাতনিকে নিয়ে যাবে। বাদী তাদের শান্ত করার জন্য দরজা খুলে বাইরে বের হলে আসামিরা বাদীকে আটকে জোরপূর্বক তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আরও সাত হাজার টাকা প্রদানের জন্য জবরদস্তি করতে থাকে। পরে বাদীর বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া ফজলুল করিম চৌধুরীর (৬৫) বাসায় গিয়ে তাদের নবজাতক শিশুর জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করতে থাকে। একইভাবে ভয়ভীতি দেখালে ফজলুল করিম নিরুপায় হয়ে পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশের টহল দল এসে তাদের উদ্ধার করে এবং বাদীর কাছ থেকে নেওয়া তিন হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করে।

আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে মামলার পর উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের এসআই মো. কবির হোসেন ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত একই বছর ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

https://sarabangla.net/post/sb-741568/?fbclid=IwAR17xO5EAgx_R0qi4lcBlH9Vze0E-XvlEMOG-7WA2ry9zWYu0sjvjxQTceY

No comments:

Post a Comment