মাদ্রাসার ১১ বছর বয়সী দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে গাজীপুরের টঙ্গীর একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হলে শিশু দু’টিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা করেন এক ভুক্তভোগী শিশুর বাবা। অভিযুক্ত শাহ আলম (৩৫) টঙ্গীর মাছিমপুর এলাকার জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার নূরানি বিভাগের শিক্ষক।
ওই মাদ্রাসার মোতয়াল্লি মামুন উর রশিদ বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে। আমরা ওই শিক্ষককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জানান, তার ১১ বছর বয়সী শিশু সন্তান ওই এতিমখানা মাদ্রাসায় থেকে নূরানি বিভাগে পড়াশুনা করতো। সোমবার রাত দুইটার দিকে মাদ্রাসার নিচ তলার ছাত্রদের থাকার রুমে প্রবেশ করে শিক্ষক শাহ আলম। পরে তার ছেলে ও আরেক শিশু শিক্ষার্থীর ওপর যৌন নির্যাতন চালান ওই শিক্ষক। বিষয়টি কাউকে জানালে শিশু দু’টিকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় শিক্ষক শাহ আলম। মঙ্গলবার দুপুরে তার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। পরে বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
No comments:
Post a Comment