Sunday, October 29

হাতীবান্ধায় মাদরাসার ১৮ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে এক হাফেজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মাদরাসা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের একটি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক। তার নাম আব্দুল আউয়াল। 





গতকাল শুক্রবার রাতে, স্থানীয়রা মাদরাসা ঘেরাও করলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ভাইয়ের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান আউয়াল। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা মাদরাসাটি বন্ধ করে দেয়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, আউয়াল গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন করে আসছে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানানোর পর পরিবারের লোকজন শুক্রবার মাদরাসায় আসে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সটকে পড়েন ওই শিক্ষক। পরে স্থানীয়রা মাদরাসা ঘেরাও করে আউয়ালের শাস্তির দাবি জানায়। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বলাৎকার করে আসছেন। শিশুরা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বিষয়টি আমাদের জানায়। আমরা বিষয়টি জানতে মাদরাসায় আসি। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আকবর হোসেন বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। 

তারা জানান, আমরা মীমাংসায় রাজি না হলে আকবর আমাদের ওপর চড়াও হয়ে তার ভাই আব্দুল আউয়ালকে মাদরাসা থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু পুলিশও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আমাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলে চলে যায়। 

মাদরাসার এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি বড় হুজুর তাদের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন। শিক্ষার্থীদের লোকজন মাদরাসায় আসলে বড় হুজুর পালিয়ে যান।’ 

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বড় ভাই আকবর হোসেন বলেন, ‘মাদরাসা ছাত্রদের দাবি আমার ভাই তাদের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। কিন্তু আমার ভাই ছাত্রদের ভালোভাবেই পড়াশোনা করান, তবে ছাত্রদের ছুটি কম দেন। তাই তারা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে।’ 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘ওই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

No comments:

Post a Comment