Wednesday, October 25

বোনকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ আইনজীবীর বিরুদ্ধে

গোপনে মামলা করে একতরফা রায় নিয়ে নিজের বোনকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে নাটোরের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে নাটোর সদর উপজেলার লক্ষিপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন নুর মেহের।

সংবাদ সম্মেলনে নুর মেহের অভিযোগ করেন, ওয়ারিস সূত্রে মায়ের কাছ থেকে ৮২ বর্গলিং জমি পান। ওই জমিতে তিনি বাড়িঘর করে গত ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ করে সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তার মেজ ভাই ও নাটোর আইনজীবী সমিতির আইনজীবী সামশুল হক ভুঁইয়া আদালতের লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আইনজীবীর সঙ্গে আসা লোকজন তার বাড়িঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেন এবং তাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করেন।

এসময় তিনি উচ্ছেদের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই জমি নিয়ে তিনি নাটোর সদর সহকারী জজ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা (১২৩/২০১১ অঃপ্রঃ ও জারি ২/২৩) করেছিলেন। মামলায় তিনি রায় পেয়ে আদালতের মাধ্যমে দখল নিতে এসেছেন।

নুর মেহের আরও বলেন, আমি ভাইয়ের হাতপা ধরে বাড়ি ভাঙতে নিষেধ করি। কিন্তু তিনি শোনেন না। তখন তিনি বাড়ি না ভাঙার জন্য অন্তত একদিন সময় চান। কিন্তু তিনি তাতেও রাজি হন না। অবশেষে তিনি আদালতের লোকজনকে উচ্ছেদের কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা কাগজপত্রও দেখান না। তারা আদালতে গিয়ে কাগজপত্র তুলতে বলেন।

অবশেষে শতাধিক মানুষের সামনে তার ভাই সামশুল হক ভুঁইয়ার উপস্থিতিতে পুরো বাড়ি ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। আমরা এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছি। শোবার ঘরে অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে নগদ কিছু টাকা ও গহনাপত্র ছিল। কোনো কিছুই বের করতে পারিনি। সব তছনছ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন





তিনি আরও বলেন, আজ ছুটির দিন হওয়ায় আমরা আদালতে যেতে পারিনি। আমার ভাইয়ের লোকজন এসে আমার ভিটাতে একটা টিনের চালা তুলে রেখে গেছেন।

এ বিষয়ে নুর মেহেরের বড় ভাইয়ের ছেলে আমির হোসেন বলেন, আমার চাচা আইনজীবী সামশুল হক ভুঁইয়া তার মায়ের জমিতে মাত্র ১৬৪ বর্গলিং জমি পাবেন। তিনি যদি একতরফা রায় পান তাহলেও সোয়া আট শতাংশ জমির মধ্যে বাঁকি জমি আমরা ভাগিদার। কিন্তু চাচা পুরো জমি কিভাবে বাঁশগাড়ি করে দখল করলেন তা বুঝতে পারছি না। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে আরও তিনটা মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত আইনজীবী সামশুল হক ভুঁইয়া জানান, তিনি ২০১১ সালে তার ওয়ারিসদের বিরুদ্ধে বাটোয়ারা মামলা করেছিলেন। ওই মামলার বিষয়ে অবগত হওয়ার পরও তার বোন নুর মেহের ও ভাইয়ের ছেলেরা মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাই একতরফা রায় হয়েছে। আদালত জারী মামলামুলে আমাকে জমির ভোগদখল বুঝিয়ে দিয়েছেন। এতে কোনো অন্যায় হয়নি।

মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সত্য না। আদালতের নোটিশে তাদের স্বাক্ষর আছে। পুরো জমি তিনি কীভাবে পেলেন জানতে চাইলে বলেন, বাবা-মায়ের সম্পত্তি এজমালিতে ছিল। তাই বাড়ির জমি আমি পুরো নিয়েছি। বোনকে মাঠে জমি দিয়েছি

https://dhakamail.com/country/127464

No comments:

Post a Comment