জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ, কর্তৃক প্রণীত নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির জন্য পরীক্ষামূলকভাবে অনুমোদিত ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নামে একটি গল্প দেওয়া হয়েছে। এই গল্পের মূল চরিত্র শরীফা জন্মগতভাবে পুরুষ হলেও নিজেকে নারী বলে দাবি করে এবং তার পূর্বের নাম পরিবর্তন করে ‘শরীফা’ নামে পরিচিত হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে শরীফা হিজড়া সম্প্রদায়ের একজন হিসেবে জীবনযাপন করতে থাকে।
গল্পটি পড়ে মনে হয়েছে এর মূল উদ্দেশ্য হলো ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা এবং হিজড়াদের প্রতি বৈষম্য না করার প্রতি দিকনির্দেশনা দেওয়া। এই গল্পে শরীফার জবানিতে লিখা হয়েছে– ‘একদিন এমন একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো, যাকে সমাজের সবাই মেয়ে বলে কিন্তু সে নিজেকে ছেলে বলেই মনে করে। আমার মনে হলো এই মানুষটাও আমার মতন। সে আমাকে বলল, ‘আমরা নারী বা পুরুষ নই, আমরা হলাম ‘ট্রান্সজেন্ডার’’ (‘শরীফার গল্প’, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ৭ম শ্রেণি, ২০২৩, পৃষ্ঠা নং- ৫১)। সাধারণভাবেই ‘ট্রান্সজেন্ডার’ বলতে কী বুঝায় সেই বিষয়ে জানার জন্য অভিভাবকদের মনে এক ধরনের আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
নারীবাদীরা মনে করেন ‘সেক্স’ হলো একটি বায়োলজিক্যাল পদ, অন্যদিকে ‘জেন্ডার’ হলো সোশালি কন্সট্রাকটেড একটি পদ। নারীবাদী দার্শনিক হ্যাসল্যাঙ্গারের মতে ‘woman is the social meaning of female’. অর্থাৎ ফিমেইল হলো একজন নারীর বায়োলজিক্যাল লিঙ্গ (সেক্স)। অন্যদিকে, তার আচার আচরণ, তার কথা বলার ধরন, এক কথায় তার জীবনাচরণ কী রকম হবে সমাজের বেঁধে দেওয়া বৈশিষ্ট্যের আলোকে একজন ব্যক্তির যে লৈঙ্গিক পরিচয় তৈরি হয় সেটা তার সামাজিক লিঙ্গ (জেন্ডার)। মানুষ জন্মগতভাবে যে লিঙ্গ নিয়ে জন্মায় সেই লৈঙ্গিক পরিচয়ে যখন শনাক্ত হয় তখন তাকে সিস-জেন্ডার বলে। অন্যদিকে, একজন ব্যক্তি যে লিঙ্গ নিয়ে জন্মায় পরবর্তীতে যদি তার বিপরীত লৈঙ্গিক পরিচয়ে শনাক্ত হয় তবে তাকে ট্রান্সজেন্ডার বলে। এক্ষেত্রে নারী থেকে কেউ পুরুষে রূপান্তরিত হলে তাকে ট্রান্সম্যান আবার পুরুষ থেকে কেউ নারীতে রূপান্তরিত হলে তাকে ট্রান্সউইম্যান বলা হয়। এই জেন্ডার ট্রান্সফরমেশনের বিষয়টি প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম দুভাবেই হতে পারে।
অন্যদিকে, কোনও কোনও ব্যক্তি নিজেদের শারীরিক পরিবর্তন (সেক্স রিঅ্যাসাইনমেন্ট এবং হরমোন পরিবর্তন) না করেও নিজেকে তার জৈবিক লিঙ্গের বিপরীত লিঙ্গের দাবি করে থাকে। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি বায়োলজিক্যালি পুরুষ কিন্তু নিজেকে নারী বলে দাবি করে তাকে বলে ‘উইম্যান ইন মেইল বডি’ (বা ‘উইম্যান ব্রেইন ইন মেইল বডি’), আর যে ব্যক্তি বায়োলজিক্যালি নারী কিন্তু নিজেকে পুরুষ বলে দাবি করে তাকে বলা হয় ‘ম্যান ইন ফিমেইল বডি’ (বা ‘মেইল ব্রেইন ইন ফিমেইল বডি’)। ‘শরীফার গল্প’-তে শরীফা জন্মগতভাবে পুরুষ হলেও সে নিজেকে নারী বলে দাবি করে, অন্যদিকে শরীফার পরিচিত ব্যক্তি শারীরিক দিক দিয়ে নারী হলেও মানসিকভাবে নিজেকে পুরুষ বলে দাবি করে। অনেকে এই ধরনের ব্যক্তিকে ‘টু-স্পিরিট’ ব্যক্তিও বলে থাকে। ফলে ‘নারী’কে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে যাতে করে ট্রান্সউইম্যান নারীরা সেই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে কিংবা এই ধরনের ‘টু-স্পিরিট’ ব্যক্তিরা বাইনারি জেন্ডারের জাল থেকে বের হয়ে আসতে পারে সেই বিষয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা এবং বিতর্ক। অনেক দার্শনিক কৃত্রিম উপায়ে নিজেদের জেন্ডার পরিবর্তনের প্রবণতাকে চিহ্নিত করেছেন এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার হিসেবে, যাকে বলা হয় “Gender Identity Disorder (GID)” (দেখুন Cressida J. Heyes, “Changing Race, Changing Sex: The Ethics of Self-Transformation, Journal of Social Philosophy, Vol. 37, No. 2, 2006, pp. 275-276)। আবার অনেক দার্শনিক মনে করেন এটা ব্যক্তির অধিকার। ফলে এই বিষয়ে নারীবাদী দর্শনে রয়েছে এক দীর্ঘ বিতর্কের ইতিহাস।
আমরা যদি ধরি ‘শরীফার গল্প’ নামক গল্পে শরীফা কিংবা তার পরিচিত উভয়েরই একটা ট্রান্স আইডেন্টিটি আছে, তবে মেনে নিতে হবে যে শরীফার পরিচয় (ট্রান্স) নারী অন্যদিকে শরীফার পরিচিত ব্যক্তির পরিচয় (ট্রান্স) পুরুষ। অতএব, ‘আমরা ছেলেও নই মেয়েও নই, আমরা হলাম ট্রান্সজেন্ডার’ একটি স্ববিরোধী বাক্য। কেননা, এখানে “ট্রান্সজেন্ডার” বললে তাকে “নারীও নয় বা পুরুষও নয়” বলা যায় না। আবার “নারীও নয় পুরুষও নয়” বললে তাকে ট্রান্সজেন্ডার বলা যায় না। অর্থাৎ, পুরো বিষয়টাই একটা দার্শনিক বিতর্কের বিষয়। অন্যদিকে, হিজড়া একটি সম্প্রদায় যে সম্প্রদায়ের সদস্যরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেরা আলাদাভাবে বসবাস করে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেরই শারীরিক ত্রুটির [লৈঙ্গিক (সেক্স) পরিচয়জনিত সমস্যা] কারণে ব্যক্তি তার পরিবার এবং মূলধারার সমাজে বিভিন্নভাবে বৈষম্য এবং নিগ্রহের শিকার হয়। ফলে, তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একই ধরনের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মূল ধারার সমাজে নিগৃহীত অপর ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলে নিজেরা একটা আলাদা সমাজ তৈরি করে।
আমি দেখেছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই অনুযোগ করে বলেছেন, এই গল্প সমকামিতাকে প্রমোট করছে। আমার কাছে মনে হয় না এই অভিযোগ সঠিক। মানুষ তার সহজাত যৌন চাহিদা পরিপূরণ করার জন্য স্বাভাবিকভাবেই তার বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গীকে বেছে নেয়। যখন একজন নারী তার বিশেষ মুহূর্তের সঙ্গী হিসেবে একজন পুরুষকে বেছে নেয়, কিংবা একজন পুরুষ তার বিশেষ মুহূর্তের সঙ্গী হিসেবে একজন নারীকে বেছে নেয়, সেই নারী বা পুরুষকে heterosexual বা বিপরীতকামী কিংবা বিষমকামী বলা হয়। অন্যদিকে, একজন নারী যদি তার বিশেষ মুহূর্তের সঙ্গী হিসেবে অপর একজন নারীকে বেছে নেয় এবং একজন পুরুষ যদি তার বিশেষ মুহূর্তের সঙ্গী হিসেবে অপর একজন পুরুষকে বেছে নেয়, তবে তাকে homosexual বা সমকামী বলা হয়। ২০২৩ সালের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস এবং সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ‘শরীফার গল্প’ পড়ে আমি যেটা বুঝেছি তাতে শরীফা কিংবা তার পরিচিত জনৈক ব্যক্তিকে সমকামী বলা যায় না। কারণ, শরীফা এবং তার পরিচিত ব্যক্তি উভয়ের ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক পরিচয় শনাক্তকরণেই মূল সমস্যা বলে দেখানো হয়েছে, সেখানে তাদের বৈবাহিক আলোচনা কিংবা বিশেষ মুহূর্তে কোনও ধরনের সঙ্গী প্রত্যাশা করে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। তাই এক্ষেত্রে সমকামিতা প্রমোট করার অভিযোগ অবান্তর।
কিছু দিন আগে আমি সময় টিভির একটা প্রতিবেদন দেখেছি। সেখানে দেখা গেলো বাংলাদেশের কোনও একটা অঞ্চলে একজন নারী কিশোরীর হঠাৎ করেই শারীরিক পরিবর্তন হয় এবং সে প্রাকৃতিক উপায়েই নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে সে এখন পুরুষের পোশাক পরছে, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ছে এবং তার নাম পরিবর্তন করে পুরুষের নামে নামকরণ করা হয়েছে। তার পরিবার এবং প্রতিবেশী তার এই পরিবর্তনকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে, এই ঘটনাকে ঐশ্বরিক এক মহিমা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। লৈঙ্গিক বিবেচনায় এই যুবককে ট্রান্সম্যান বলা হবে, যে আগে নারী ছিল কিন্তু বর্তমানে পুরুষ। পাশ্চাত্যে অনেকেই লিঙ্গ প্রতিস্থাপন (sex reassignment) কিংবা হরমোনের পরিবর্তনের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষ এবং পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হয়। ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিওতে ‘জেন্ডার অ্যান্ড রেইস’ কোর্স পড়ার সময় এ রকম একজন ট্রান্সম্যানের সঙ্গে আমি ক্লাস করেছি, যে কৃত্রিম উপায়ে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছে।
কৃত্রিমভাবে রূপান্তরিত ট্রান্সজেন্ডার নরনারীদের বিভিন্ন শারীরিক জটিলতাসহ নানাবিধ সামাজিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি কানাডার মতো উদার মানসিকতার দেশেও সমাজ ট্রান্সজেন্ডার নরনারীকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে চায় না, যদিও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক আন্দোলন চলছে, উঠে আসছে নতুন নতুন দার্শনিক তত্ত্ব। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তাদের ফেস করতে হয় তা হলো তারা কাদের সঙ্গে পাবলিক টয়লেট শেয়ার করবে, সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো। কারণ, এসব দেশে প্রায় প্রতিটি বিষয়ে নারী পুরুষের সমতা পরিলক্ষিত হলেও পাবলিক টয়লেটে নারী এবং পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকে। ‘টু-স্পিরিট’ ব্যক্তি মানে ‘মেইল ব্রেইন ইন ফিমেইল বডি’ এবং ‘ফিমেইল ব্রেইন ইন মেইল বডি’ ব্যক্তিদের জন্যও পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের বিষয়ে রয়েছে বিতর্ক। এছাড়াও অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল কিংবা ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও রয়েছে বিতর্ক। এক্ষেত্রে একজন ট্রান্সম্যান কি পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে নাকি নারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে এই সমস্যার সমাধান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কেউ কেউ মনে করেন ট্রান্সম্যান পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। কারণ, কঠোর প্রশিক্ষণ, অনুশীলন এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে খেলাধুলায় একজন নারীকে পুরুষের চেয়ে পেশি পারদর্শী করে তোলা সম্ভব।
সে যাহোক, মূল কথা হলো আমি যতদূর বুঝেছি ৭ম শ্রেণির বইয়ে শরীফার ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও জটিলতা নেই, কারণ প্রাকৃতিক কিংবা কৃত্রিম উপায়ে তার কোনও লিঙ্গান্তর হয়নি। তাই শরীফাকে আপাতদৃষ্টিতে আমার কাছে মনে হচ্ছে ‘টু-স্পিরিট’ ব্যক্তি, যার শারীরিক কোনও জটিলতা নেই, বরং মূল সমস্যাটা হয়েছে তার চিন্তায়, যেহেতু সে নিজেকে তার জৈবিক লিঙ্গের বিপরীত লিঙ্গ মনে করছে । এই অধ্যায়ে একদিকে শিক্ষার্থীকে শেখানো হচ্ছে গোলাপি বা নীল রঙের ফ্রেমে নরনারীকে সংজ্ঞায়িত করা উচিত হবে না, অন্যদিকে আবার শরীফার মতো “ফিমেল ব্রেইন ইন মেইল বডি” ব্যক্তি নিজে নারীর মতো আচরণ করতে পছন্দ করে বলে নিজেকে নারী বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। ফলে, “নারী” বলতে কি বুঝায় সেই বিতর্ক এখানে অমীমাংসিতই থেকে যাচ্ছে।
আমার মতে ট্রান্সজেন্ডারের মতো এত জটিল বিষয়ের পাঠ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য নির্বাচন করার আগে বিবেচনা করা উচিত ছিল এই পাঠ আত্মস্থ করার জন্য শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত কিনা। পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে বলে পৃথিবীর সব জটিল এবং কঠিন বিষয়ের পাঠ এক ক্লাসেই পড়িয়ে ফেলতে হবে, এই ধারণা আমাদের ত্যাগ করতে হবে। বিষয়বস্তুর মান বিচারে এটি একাদশ/ দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারতো। এই বিষয়টা বাদ দিয়েও নারী পুরুষের সমতার বিষয়টি আলোচনা করা যেতো, হিজড়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা আমাদের সমাজের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও যে সামাজিক বৈষম্য এবং নিগ্রহের শিকার সেটি উঠে আসতে পারতো এবং তাদের প্রতি কোনও বৈষম্যমূলক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়, সেই বিষয়ে আলোচনা করা যেতো। মোট কথা, শিক্ষার্থীদের হাতে কোনও বই তুলে দেওয়ার আগে তাদের মনস্তত্ত্ব বোঝা খুব জরুরি। কোন বয়সে কোন বিষয়ের পাঠ দিতে হবে সে হিসাব করে পাঠের বিষয়বস্তু নির্বাচন করা জরুরি। আবার যে বিষয়ের জ্ঞান দান করা হবে সেটা যেন তারা পরিপূর্ণভাবে লাভ করতে পারে এবং আত্মস্থ করতে পারে সেই বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। এখানে শরীফাকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে উপস্থাপন না করেও তাকে হিজড়া সম্প্রদায়ের বাসিন্দা হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে।
আমি আশা করি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ৭ম শ্রেণির পাঠক্রম থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’-এর অংশটুকু বাদ দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অসম্পূর্ণ জ্ঞানদান থেকে বিরত থাকবে। সেই সঙ্গে হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি সামাজিক প্রবঞ্চনা এবং নিগ্রহের বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা হিজড়াদের সমাজেরই একজন হিসেবে গ্রহণ করার মানসিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিএইচডি শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও, কানাডা।
No comments:
Post a Comment