পাঠ্যবই নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা চালিয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে মনে করছে মহিলা পরিষদ।
নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে থাকা হিজড়া জনগোষ্ঠী বিষয়ে শিক্ষক আসিফ মাহতাবের বক্তব্য ‘নেতিবাচক’ ও ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করে সংগঠনটি বলছে, “শিক্ষক মাহতাবের আচরণ অগ্রহণযোগ্য এবং মানবাধিকারের পরিপন্থি। শিক্ষক হিসেবে তার যোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
বুধবার মহিলা পরিষদ এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে।
শিক্ষক মাহতাবের বক্তব্য এবং পরবর্তীতে এ নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, “শিক্ষাক্রমে দীর্ঘদিন থেকে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে দীর্ঘদিনের নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকারের আলোকে মানস গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
“বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, রাষ্ট্র যেমন ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ পরিচয়ে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে, পাশাপাশি শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, পরিবারের সদস্যসহ নাগরিক সমাজের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।”
ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীর মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।
গত শুক্রবার রাজধানীতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এক আলোচনায় ‘সমকামিতার উসকানির’ অভিযোগ তুলে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন আসিফ মাহতাব, যিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।
এই ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর পাঠ্যবই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে।
আসিফ মাহতাবের ছিঁড়ে ফেলা অংশে জায়গা পেয়েছে হিজড়াদের জীবন নিয়ে ‘শরীফার গল্প’ নামে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ। তার দাবি, এই গল্পের মাধ্যমে সমকামিতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।
তবে পাঠ্যবই রচনার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, একটি গোষ্ঠী না বুঝে পাঠ্যবইয়ের বিরোধিতা
https://bangla.bdnews24.com/campus/6mt1vtksgu
No comments:
Post a Comment