শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে 'উগ্র, জঙ্গি ও ধর্ম ব্যবসায়ী' আখ্যা দিয়ে তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ।
বুধবার জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া বিষয় নিয়ে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার বিরোধিতা এবং ধর্মের অপব্যবহার করে উসকানি দিয়ে মাহতাব ‘উত্তেজনা ও অশান্তি’ সৃষ্টি করেছেন।
ইনু ও শিরীন বলেন, অতীত থেকেই ধর্মের অপব্যাখ্যা, অপব্যবহারকারীরা বিজ্ঞান শিক্ষার বিরোধিতা করে মুসলমানদের বিজ্ঞান ও যুক্তির পথ থেকে সরিয়ে অন্ধ ও কূপমণ্ডূক বানানোর অপ্রয়াস চালিয়ে আসা হচ্ছে। তারা তাদের ধর্ম ব্যবসার প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে বিজ্ঞান শিক্ষা ও যুক্তিকে চিহ্নিত করে আসছে।
উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদী, ধর্মান্ধ রাজনৈতিক ধারার বিরুদ্ধে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানানো হয় জাসদের বিবৃতিকে।
এতে বলা হয়, “বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মের নামেই বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, বাঙালির আত্মপরিচয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির উপর ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত করেছিল।”
গত শুক্রবার রাজধানীতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এক আলোচনায় ‘সমকামিতার উসকানির’ অভিযোগ তুলে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন আসিফ মাহতাব, যিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।
এই ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর পাঠ্যবই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে।
আসিফ মাহতাবের ছিঁড়ে ফেলা অংশে জায়গা পেয়েছে হিজড়াদের জীবন নিয়ে ‘শরীফার গল্প’ নামে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ। তার দাবি, এই গল্পের মাধ্যমে সমকামিতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।
তবে পাঠ্যবই রচনার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, একটি গোষ্ঠী না বুঝে পাঠ্যবইয়ের বিরোধিতা করছে।
https://bangla.bdnews24.com/campus/s915frrxh1
No comments:
Post a Comment