রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মারকাজুত তাহফিজ মাদ্রাসায় ৮ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে সাঈদ আহমেদ (২৫) নামক এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী শিশুর বোনের করা মামলায় নামে ওই শিক্ষককে শুক্রবার মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক সাঈদ আহমেদ গত ২২ জানুয়ারি মধ্যরাতে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তার বিছানায় নিয়ে বলাৎকার করে। এতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন বিষয়টি টেলিফোনে তার পরিবারকে জানায়। অসুস্থতার কথা বলে তার অভিভাবকরা তাকে ছুটিতে নিয়ে আসতে চাইলেও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নেসার আহমেদ নাছিরী নানা অজুহাতে তাকে ছুটি দেয়নি। পরবর্তীতে কৌশলে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে এসে ঘটনাটি তার অভিভাবককে জানালে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নেসার আহমেদ নাছিরী বিষয়টি মিটমাট করতে এবং থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ না দেওয়ার জন্য নানাভাবে ওই পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে।
যাত্রাবাড়ী থানার ডিউটি অফিসার জানিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯ (১) ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শিক্ষক সাঈদ আহমদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নেসার আহমেদ নাছিরীর ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন। মাদ্রাসার অফিসে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধের একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের জন্য মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার দেশব্যাপী পরিচিতি রয়েছে।
https://www.anweshan.news/opinions/585?fbclid=IwAR3-NYLLWV2ZL1cciIqP5CoJsvLz_2Kg1uJUBc-s4FEG7VUMWNmRULlem7Q
No comments:
Post a Comment