হিজড়াদের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের পাশাপাশি সামাজিক ও চিকিৎসার জন্য একটি হিজড়া কল্যাণ বোর্ড গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৬ মার্চ এই রুল দেন। হাইকোর্টের এই রুল সংক্রান্ত আদেশ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত তথ্য বলছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রাথমিক জরিপমতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
হিজড়াদের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সিলেটের বাসিন্দা ও জাতীয় মানবকল্যাণ পদকপ্রাপ্ত মো. আবদুল জব্বার জলিল আবেদনকারী হয়ে গত মার্চে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আজ রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আবদুল হালিম কাফি প্রথম আলোকে বলেন, দেশের সংবিধান ও ধর্মীয় রীতিতে কোথাও ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়কে (হিজড়া) তাদের পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায় (হিজড়া) যাতে উত্তরাধিকার হিসেবে তাদের পরিবারের সম্পত্তি পেতে পারে, সে জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রয়োজন। হিজড়া সম্প্রদায়ের সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত হলে তারা সমাজে নাজুক হিসেবে গণ্য হবে না, এমনকি দেশের যেকোনো জনসমাগমস্থলে তারা উপদ্রবে জড়িয়ে পড়বে না। এমন সব যুক্তি তুলে ধরে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।
আইনসচিব, সমাজকল্যাণসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
https://www.prothomalo.com/bangladesh/mkyjxv3exj?fbclid=IwAR3-kdhlaopicNMHieV0SNCUgMh2aUk1LO-5DAoPJxFCbo7-lAideWai3bE
No comments:
Post a Comment