![](https://cdn.ajkerpatrica.net/contents/cache/images/720x0x1/uploads/media/2023/04/15/d0888c29533db83895ae6353b46962ab-643ab1820e0ea.jpg)
আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডাকবাংলোর সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম মোবারক হোসেন সুমন (৩৫। তিনি প্রসূতি স্ত্রীকে নিয়ে শহরের কেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।
ভুক্তভোগীর স্বজনেরা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অটোরিকশায় প্রসূতি স্ত্রীকে নিয়ে শহরের কেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মোবারক। ডাকবাংলো মোড়ের সামনে অটোরিকশা থামায় ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আজাদ ও দুজন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য। তাঁরা রিকশাচালকের কাছে ১০০ টাকা দাবি করেন। যাত্রী মোবারক তাঁর স্ত্রীর জরুরি অবস্থার কথা জানালেও তাতে পাত্তা না দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মোবারককে মারধর শুরু করে আজাদ ও দুজন কমিউনিটি পুলিশ।
একপর্যায়ে ছিঁড়ে ফেলা হয় তাঁর পরনের পোশাক। স্বামীকে মারধর করতে দেখে প্রসূতি স্ত্রী পায়েল অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আজ দুপুরে ওই নারী সন্তান প্রসব করেন।
এদিকে মোবারককে মারধরের খবর পেয়ে স্বজন ও স্থানীয়রা জড়ো হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক এম এ করিম ঘটনাস্থলে এসে আহত মোবারক ও তাঁর পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত কনস্টেবল আজাদসহ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের মুখে এম এ করিম বলেন, ‘আমি খবর পেয়েই সেখানে ছুটে আসি। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেই পুলিশ সদস্য এই কাজ করেছে, তারা ট্রাফিক পুলিশের জন্য লজ্জাজনক। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।’
No comments:
Post a Comment