কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মো. ইসমাইল (৪০) নামে এক শিলনোড়া খোদাই কর্মীর হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. গোলাম রাব্বী (২০) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় ও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। জবানবন্দিতে সে সমকামিতায় আসক্ত মো. ইসমাইলের ফাঁদ থেকে বাঁচতে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করার পর মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে জানায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গোলাম রাব্বী কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিয়াজুল কাউসারের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর ২ দিন আগে মঙ্গলবার সকালে পাকুন্দিয়া এগারসিন্দুর ইউনিয়নের খামা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে মো. ইসমাইলের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ইসমাইল উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের চরখামা গ্রামের মৃত লিলু মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে ঘাতক মো. গোলাম রাব্বী প্রতিবেশী আবু তাহেরের ছেলে এবং মঠখোলা হাজী জাফর আলী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
https://mzamin.com/news.php?news=43359&fbclid=IwAR2DiVcSBKuJWWrnkKxetbMPJIRLxZby9MQ6cVhyAkihE-mNLWcZKE6wM2w
No comments:
Post a Comment