Tuesday, February 28

নিজের মতো অনেকের ভাগ্য গড়ছেন ট্রান্সজেন্ডার পলাশ

হস্তশিল্পের কারখানা গড়ে নিজের মতো আরও ৪৪ জনের ভাগ্যের চাকার হাল ধরেছেন গোপালগঞ্জের ট্রান্স নারী পলাশ। তার কারখানায় নির্মিত হস্তশিল্পের জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। এজন্য তিনি জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা পুরস্কারও জিতেছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন এই উদ্যোক্তা। তার কারখানায় গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও পাবনাসহ কয়েকটি জেলার ট্রান্সজেন্ডাররা কাজ করছেন।

পলাশ বলছেন, তার চাওয়া ট্রান্স পুরুষ ও নারীরা যারা সাধারণত বাংলাদেশে “হিজড়া” নামে পরিচিত, তারা মূল স্রোতের বাইরে থাকার কলঙ্ক কাটিয়ে উঠুক।

গত ৮-১৮ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ শহরের মিউনিসিপ্যাল পার্কে বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ঢাকা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, “অনেকে উদ্যোক্তা হওয়ার ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমি তাদের উদ্যোক্তা ও শ্রমিক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে চাই।”

পলাশ বলেন, “আমি দেশের ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়কে একটি দক্ষ কর্মশক্তিতে পরিণত করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু করেছি।”

পলাশ বলেন, “তারা সমর্থন পেলে অন্য কারো ওপর নির্ভর করবে না। ট্রান্সজেন্ডাররাও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভূমিকা রাখবে।”
শুরুটা যেভাবে

ভারতের রাজস্থানে হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন পলাশ। এরপর ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া শহরের কয়েকজন ট্রান্সজেন্ডারকে সংগঠিত করে শিশুদের প্রয়োজনীয় পণ্যের হস্তশিল্পের কারখানা দেন।

তিনি বলেন, “আমরা ভারত থেকে কাঁচামাল আমদানি করছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন কাঁচামালের সমন্বয়ে চকচকে পণ্য তৈরি করেছি। আমার পণ্যটি আলাদা হওয়ায় চাহিদা বেশি।

“এখন আমার কোম্পানিতে ৪৪ জন ট্রান্সজেন্ডার কাজ করছে। আমি তাদের দৈনিক বেতন দিচ্ছি। জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের আর কারো ওপর নির্ভর করতে হয় না। তারা আত্মসম্মান নিয়ে সমাজে বসবাস করছে। তারা এখন আত্মবিশ্বাসী,” যোগ করেন তিনি।

পলাশ জানান, তার পণ্য নেপালেও রপ্তানি হয়।

তিনি ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুইবার এবং জাতীয় পর্যায়ে তিনবার পুরস্কার পেয়েছি। আমি নিয়মিত এসএমই মেলায় অংশগ্রহণ করেছি এবং অসংখ্যবার সেরা স্টলের পুরস্কার জিতেছি।”

বেসিসের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের এজিএম গৌরব দাস বলেন, পলাশ ট্রান্সজেন্ডারের মধ্যে থেকে উঠে আসা একজন সফল উদ্যোক্তা। তার পণ্য খুব আকর্ষণীয়। তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমরা তার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

তিনি বলেন, “বেসিসের পক্ষ থেকে তাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”




https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/62433/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B6?fbclid=IwAR2hRm1eMt0PU1ymCUdk34xFsUME7sPzY4LCGKfR_h1yJP2YiXgTz-zokq8

No comments:

Post a Comment