Saturday, April 20

পুলিশের বিরুদ্ধে বাসের সুপারভাইজারকে মারধরের অভিযোগ

সাভারে টহলের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল রোজদারের বিরুদ্ধে যাত্রীবাহী বাসের সুপারভাইজারের অন্ডকোষে লাথি মারাসহ বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ভুক্তভোগীর নাম হানিফ আলী (২৮)। তিনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহনে সুপারভাইজার হিসেব চাকরি করেন। ভুক্তভোগী হানিফের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নিজের বাস গ্যারেজে রেখে তিনি বাসায় যাওয়ার জন্য জোড়পুল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়ান। এসময় সাভার হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল দল ওই স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের চালকের কাছে কাগজপত্র চাইছিল। কিন্তু চালক কাগজপত্র দেখাতে গড়িমসি করলে পুলিশের এক সদস্য চালককে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে ‘আমি ওই বাসের কাছে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের বলি, ভাই গাড়ির মহাজন আসতেছে, মারধর করছেন কেন? এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল রোজদার প্রথমে গালিগালাজ করেন। এরপর ওই কনস্টেবল আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে ২০ থেকে ২৫টি লাথি মারেন। লাথিতে আমার গোপন অঙ্গে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মারধরের ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই সাংবাদিক ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে গেলে কনস্টেবল রোজদার তাঁদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরা সাংবাদিক বিষয়টি জানার পর কনস্টেবল রোজদার সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে মারধরের বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাইওয়ে থানার টহল দলের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শ (এসাআই) জিল্লুর রহমানের কাছে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন কিছু ঘটেনি। সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, বাসের সুপারভাইজারকে মারধরের বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সুপারভাইজারকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments:

Post a Comment