Tuesday, April 2

অভিশপ্ত সমকামীদের প্রতিষ্ঠান আড়ং নিষিদ্ধ করতে হবে

ব্রাক ও তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আড়ং মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা নষ্ট করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। ৯০% মুসলমানের দেশে এখন তারা প্রকাশ্যে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সমকামিতা বিস্তারে মাঠে নেমেছে। আড়ং পাঞ্জাবিতে সমকামিতার লোগো ছেপে পণ্য বিক্রির আড়ালে সমকামিতার প্রচার ও প্রসার চালাচ্ছে। আড়ং এদেশে ইহুদি নাসারাদের এজেন্ডা (সমকামিতা) আমদানি করছে। অভিশপ্ত সমকামিতার প্রতিষ্ঠান আড়ং নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আড়ং এর পাঞ্জাবির লোগোতে সমকামীদের চিহ্ন ব্যবহারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পৃথক পৃথক বিবৃতি বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ আড়ং এর সকল প্রকার পণ্য বর্জনের জন্য ঈমানদার মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।


বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রাক ও তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আড়ং মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা নষ্ট করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। এখন তারা প্রকাশ্যে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সমকামিতা বিস্তারে মাঠে নেমেছে। আড়ং এর পাঞ্জাবিতে সমকামিতার লোগো ছেপে পণ্য বিক্রির আড়ালে সমকামিতার প্রচার ও প্রসার চালাচ্ছে। যা কোন মুসলমান বরদাশ করতে পারেনা। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানদের দেশে অভিশপ্ত সমকামিতার পক্ষে যারা কাজ করছে তাদেরকে শুধু বয়কট নয়, শক্তভাবে প্রতিহত করা উচিত।


তিনি আরো বলেন, একদিকে আড়ং মুসলিমদের পবিত্র ঈদে প্রচুর ব্যবসা করবে, অন্যদিকে মুসলিমদের ঈমান-আক্বিদা ও চরিত্র বিনষ্টকারী ইহুদি নাসারাদের এজেন্ডা সমকামিতার মত জঘন্য পাপের প্রচার প্রসারে কাজ করবে তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে আড়ং এর সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর : মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে রমজানের মতো প্রবিত্র সময়ে অভিশপ্ত সমকামিদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আড়ংয়ের দুঃসাহসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম এবং সেক্রেটারি ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। কঠোর এক হুঁশিয়ারি বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, সমকামিতা ইসলামে চরমভাবে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানেও সমকামিতা অবৈধ। আড়ংয়ের মতো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কি করে রমজান মাসে সমকামিদের প্রতীক পাঞ্জাবি ড্রেসে ব্যবহার করলো? তাদের খুঁটির জোর কোথায়? কে তাদের আস্কারা দিলো? সরকারকে তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং আড়ংয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে নেতৃদ্বয় আড়ংকে বয়কট করার জন্য সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানান।

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আড়ং এর পাঞ্জাবির লোগোতে সমকামিদের চিহ্ন ব্যবহারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদএরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া, নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল মুহাম্মাদ শওকাত হোসেন, মাওলানা মুহাম্মাদ রুহুল আমীন, ড. মাওলানা মুহাম্মাদ এনামুল হক আজাদ ও সেক্রেটারী জেনারেল মোস্তফা তারেকুল হাসান। নেতৃবৃন্দ বলেন, আড়ং শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে সমকামিতাকে প্রমোট করার চেষ্টা পাঞ্জাবির লোগোতে সমকামিদের চিহ্ন ব্যবহার। সরকারের প্রতি আহ্বান অবিলম্বে এই প্রতিষ্ঠানটিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক। আড়ংয়ের ইসলাম বিদ্বেষী এই জঘন্য কর্মকাণ্ড এদেশের তৌহিদী জনতার মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সকল মুসলিম ভাইদের প্রতি আহ্বান, এই মুহূর্তে আড়ংকে বয়কট করুন। একজন ঈমানদার মুসলমানের পক্ষে এদের পণ্য ব্যবহার করা সঠিক হবে না। কারণ সমকামির মতো হারাম এবং জঘন্য অপরাধকে তারা প্রতিষ্ঠা করতে মাঠে নেমেছে। এটা কোনভাবেই আমাদের এই দেশে বৈধ করতে দেয়া হবে না। এদেশের তৌহিদী জনতা যে কোন মূল্যে তা প্রতিহত করবে।


ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যাব ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা অ্যাডভোকেট আব্দুর রকীব এক বিবৃতিতে বলেন, এদেশের মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা ধ্বংস করার এজেন্ডা নিয়ে আড়ং পাঞ্চাবির সমকামিতার লোগো ছাপিয়েছে। ৯০% মুসলমানের দেশে ইসলাম ও দেশ বিরোধী সমকামিতার প্রচার প্রসারে কোন সাহসে আড়ং মাঠে নেমেছে তা’খতিয়ে দেখতে হবে। ইহুদি নাসারাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই আড়ং সমকামিতা এদেশে চালু করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত কঠোর শাস্তির আওতায় আনার জন্য তিনি জোর দাবি জানান। তিনি ইহুদিদের দোসর আড়ং এর সকল পণ্য বর্জনের জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, শরীফ শরীফা নিয়ে এতো সমালোচনার পরেও ব্রাক মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা ধ্বংসের পাঁয়তারা থেকে সরেনি বরং উল্টো রমজান মাসে মুসলিমদের পোশাক পাঞ্জাবির লোগোতে সমকামিতার চিহ্ন ব্যবহার করে মুসলমানদের বোকা বানিয়ে সমকামিতার পক্ষে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে আড়ং। সমকামিতার জায়েজ করতে আড়ং এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে। এরা ইহুদিদের দোসর। এদের পণ্য জেনে শুনে কোনো মুসলমান ব্যবহার করতে পারে না। এরা তরুণ প্রজন্মকে সমকামিতার দিকে আকৃষ্ট করতে নানামুখী অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তিনি দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আ্ড়ং এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। আড়ং ইসলাম ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা দেশের ও ইসলামের শত্রু। এদের সকল পণ্য বর্জন করা ঈমানী দায়িত্ব। তাদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের শিক্ষা, সাংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারতের পণ্য বর্জন করা এখন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, বহু মামলার আসামী মুক্তি পেলেও আজ ৩ বছর যাবত সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবৈধ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে করাগারে রেখেছে। মাওলানা মামুনুল হককে ঈদের আগে মুক্তি দিতে হবে। তিনি গতকাল রোববার বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস গাজীপুর মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

গাজীপুরের একটি রেস্টুরেন্টে শাখা সভাপতি কাজী নিজাম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি মাওলানা মুর্শেদ কামাল চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি নাসির উদ্দীন খান, মাওলানা আবু নাঈম কাসেমী।

No comments:

Post a Comment