ঢাকার সাভারে সমকামীতা ও পুরুষের সাথে যৌনতায় লিপ্ত অপসাংবাদিক মিঠুন সরকারকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১ টায় সাভার প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুস সাকিবের সভাপতিত্বে সিনিয়র সাংবাদিকসহ স্থানীয় কয়েকশ সাংবাদিক এতে অংশ নেয়। পুরো অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্যের তত্ত্বাবধানে সঞ্চালনায় ছিলেন সাভার প্রেসক্লাবের সদস্য তোফয়েল হোসেন সানি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাভার প্রেসক্লাব নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরুন ভৌমিক নয়ন, সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য, সাভার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সচেতন নাগরিক কমিটির নেতা অধ্যাপক দীপক কুমার রায়, প্রেসক্লাবের সহকারী নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিক অরূপ রায়, সাংবাদিক নাজমুল হুদা, জিয়াউর রহমান জিয়া, আকাশ মাহমুদ, সোহেল রানা, পূজা উদযাপন পরিষদের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি সম্ভু চন্দ্র সরকার ও সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, মিঠুন প্রথমে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের প্রতিনিধিত্ব করে। ওই সংগঠনের সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে একজন সাংবাদিকের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি। ওই সাংবাদিকের কন্যা ও পুত্রকে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ পেয়ে সাংবাদিক হওয়ার খায়েশ জন্মায় মিঠুন সরকারের। সেই থেকে সাভার প্রেসক্লাবের সদস্য এবং পরে একটি বেসরকারি চ্যানেলে সাংবাদিকতা শুরু করে মিঠুন সরকার। বিধিবাম মিঠুন সরকার সাংবাদিকতা শুরুর আগেই জড়িয়ে পড়ে চাঁদাবাজিতে। তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে ব্যাবসায়ীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
তার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনে নামে সাভার বাসী। এসময় মিঠুন সরকারকে সাভার প্রেসক্লাব ও কর্মরত একাত্তর টেলিভিশন থেকে বহিস্কারের দাবি তোলা হয়। চাঁদাবাজি ছাড়াও কমবয়সী একাধিক কিশোর বালকদের বলাৎকারের ঘটনা সামনে আসলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। এই অবস্থায় মিঠুর সরকারের কর্মস্থল বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশন তাকে বহিষ্কার করে। ঘটনার একাধিক তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় সম্মিলিত ভাবে আজীবনের জন্য মিঠুন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, এরপর থেকে সাভারে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করতে থাকে মিঠুন সরকার। সাভার প্রেসক্লাব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে নিজেকে মুসলিম দাবি করে মামলা দায়ের করে। এর আগেও মামলা করে পরাজিত হয় মিঠুন সরকার। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে সিমপ্যাথি নেওয়ার চেষ্টা করে সে। সম্প্রতি কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে মিঠুন সরকার।
মানববন্ধন থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারাও মিঠুন সরকারের গ্রেফতার চেয়ে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তার মিথ্যা অভিযোগ তদন্ত ছাড়া গ্রহণ করলে থানা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেয় সাংবাদিক নেতারা। নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষ দিয়ে শারীরিক নির্যাতনের পর ভিডিও ধারণের ঘটনায় স্ত্রীর শিকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কথা উল্লেখ করে দেড় ডজন মামলার আসামী সমকামী মিঠুন সরকারকে তৃতীয় বারের মতো অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সাভার প্রেসক্লাবের নেতারা।
এছাড়াও সমকামী মিঠুন সরকার এসব অপকর্ম থেকে বিরত না হলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতির কথা মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে জানানো হয়।
এসময় মিঠুন সরকারের দ্বারা চাঁদাবাজির শিকার ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, নির্যাতিত হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রায় অর্ধশত ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ ও বলাৎকারের শিকার ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরাসহ সাভারের শতাধিক স্থানীয় সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সমকামী মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে জমি দখল, চুরি, চাঁদাবাজি, মারধর, হত্যাচেষ্টা, দুর্নীতি, তথ্যপ্রযুক্তি ও যৌন হয়রানিসহ প্রায় ১৬টি মামলা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment