Thursday, February 29

এবার হিজড়াদের মারধরে আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

রাজধানীতে প্রজাপতি পরিবহন বাসে হিজড়াদের মারধরের শিকার হয়ে জায়েদ ঐশীক নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীর বাবা আবুল কালাম আজাদ। 

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীর বাবা আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরা-মহাখালী মহাসড়কের খিলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, শিক্ষার্থী জায়েদ বুধবার সকালে কাওলা থেকে প্রজাপতি পরিবহন বাসে চড়ে শ্যামলী যাচ্ছিলেন। এদিন খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ড থেকে দুজন হিজড়া চাঁদার জন্য বাসে উঠে। যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর কাছেও টাকা চাইলে সে ২০ টাকা দেয়ার পরও অতিরিক্ত টাকা দাবি করে হিজড়ারা।


এ সময় অতিরিক্ত টাকা নিয়ে হিজড়াদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হিজড়ারা ওই শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। তখন সে বাস থেকে নেমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর চিকিৎসা না পেয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাকের অপারেশন করতে হবে বলে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তার অপারেশন সম্পন্ন হয়।





শিক্ষার্থীর বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার ছেলে একজন শিক্ষার্থী, সে ২০ টাকা দিয়েছে এটাই অনেক বেশি। তারপরও তার সঙ্গে এমন বেপরোয়া আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা যেই পথ দিয়ে চলাচল করি হিজড়ারা সব সময়ই বাসে ওঠে চাঁদার জন্য অশোভন আচরণ করে। এ ধরনের হয়রানি থেকে যেন সাধারণ মানুষ রক্ষা পায় সেজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ওসি শেখ আমিনুল বাশার বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

এর আগে রাজধানীর মুগদা থানার মানিকনগর এলাকায় গত কয়েকদিন আগে চাঁদা না পেয়ে সুমন নামে এক মুদি দোকানিকে মারধর করে ৩ হিজড়া। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে ‘আতঙ্কের নাম হিজড়া, চাঁদা না পেলে করেন অশ্লীলতা-মারধর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এ ঘটনায় বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

No comments:

Post a Comment