বিআইএইচআর এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ টাঙ্গাইল শহরে দু’জন যৌন সংখ্যালঘু সমকামী লেসবিয়ান কিশোরীকে যাদের
ভয়ে এবং প্ররোচনায় কাজী অফিস হতে স্থানীয় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে সেসকল অভিযুক্ত অপরাধীকে দ্রুত চিহ্নিতপূর্বক গ্রেফতার করে নিরপেক্ষ
ও স্বচ্ছ তদন্ত ও বিচার করে দায়ীদের
দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোড় দাবী জানিয়েছে।
দৈনিক কালবেলা প্রতিকার অনলাইনে ভার্ষনে গত ২৭শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবর আনুযায়ী জানা যায় যে, টাঙ্গাইলে কাজী অফিসে বিয়ে করতে এসে পুলিশ হেফাজতে গিয়েছেন দুই নারী। ২৭শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বটতলা কাজী অফিসে এক নারী আরেক নারীকে বিয়ে করতে এলে বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন কাজী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. ছালাম । তিনি জানান,জেলার নাগরপুর উপজেলার একটি গ্রামের দুজন মেয়ে বিয়ে করতে আসেন টাঙ্গাইল কাজী অফিসে। এ ঘটনা শুনে কাজী অফিসে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে থাকে তখন কাজী শহীদুল ইসলাম পুলিশকে খবর দেন। তখন পুলিশ গিয়ে তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে আসে।
বিআইএইচআর এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের মহাসচিব এবং এলজিবিটি অধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম কাজী যৌন সংখ্যালঘু সমকামী লেসবিয়ান কিশোরীদ্বয়ের বিয়ে করতে চাওয়ার বিষয়টি কাজী অফিস কর্তৃক প্রকাশ করায় এবং পরবর্তীতে স্থানীয় থানায় তাদের সোপর্দ করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
একই সাথে সেসকল স্থানীয় হোমোফোবিক ব্যক্তির চাপে ও ভয়ে কিশোরীদ্বয়কে স্থানীয় থানা হেফাজতে নিতে বাধ্য করা হয়েছিল সেসকল ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিতপূর্বক দায়ীদের বিচারে সোপর্দ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন, অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম।
অ্যাডভোকেট শাহনূর ইসলাম বিশ্বাস করেন যে, উল্লিখিত হত্যার ঘটনা
বাংলাদেশে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এই ঘটনা সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে সংঘটিত লেসবিয়ান
সহ এলজিবিটি সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে চলমান বৈষম্য, শারিরীক
আঘাত, হুমকি, হত্যার হুমকি, হত্যা, ও অন্যান্য মানবাধিকার লংঘন বিষয়ের একটি অংশ
মাত্র।
অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম মনে করেন, যদিও সমকামী ব্যক্তি নিজ বাড়ি থেকে সমাজ এবং সমাজ
থেকে রাষ্ট্র সর্বত্র বৈষম্য, সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্মুখীন
হচ্ছে, কিন্তু লেসবিয়ান সম্প্রদায়ের নারীরা একটু বেশী পরিমানেই সহিংসতা ও
মানবাধিকার লংঘনের শিকার হয়ে থাকে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় সেসব
বৈষম্য, সহিংসতাসহ মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা সামাজিক
অগ্রহণযোগ্যতা ও অসহিষ্ণুতার কারণে খুব কমই জনসম্মুখে
প্রকাশিত হচ্ছে, বরং অধিকাংশ ঘটনা জনসম্মুখের অগোচরে রয়ে যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment