Friday, April 15

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মেহেরপূরে যৌন সংখ্যালঘু হিজরাকে নির্যাতন ঘটনায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান বিআইএইচআর এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন।


মেহেরপুরের গাংনীতে যৌন সংখ্যালঘু সমকামী হিজরা সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে নির্যাতন করার ঘটনায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস (বিআইএইচআর) এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।


একই সাথে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোড় দাবী জানিয়েছে বিআইএইচআর এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ।


গতকাল ১৪ এপ্রিল ২০২২ খ্রীষ্টাব্দ তারিখে মাথাভাংগা ডট কমে প্রকাশিত খবর আনুযায়ী জানা যায় যে, হিজরাদের চাঁদার দাবিতে অতিষ্ট হয়ে নদী নামের এক হিজরাকে পিটিয়েছেন ব্যবসায়ী। গতকাল বুধবার বিকেলে গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা গেছে,নদী নামের তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) এক ব্যক্তিসহ কয়েকজন বামন্দী বাজারের বিভিন্ন দোকানে ঈদ উপলক্ষে টাকা আদায় করছিলেন। বিষয়টি চাঁদাবাজি বলে প্রতিবাদ করেন কসমেটিকস ব্যবসায়ী সোহেল রানা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন হিজরারা। এর এক পর্যায়ে নদীকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছে হিজরা সমাজের মানুষের মাঝে।



বিআইএইচআর এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের মহাসচিব এবং বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমকামী অধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম সৈকত মেহেরপুরে এক হিজরাকে মারধরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে অভিযুক্ত অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করার আহবান জানিয়েছেন।


অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম মনে করেন যে, উল্লেখিত ঘটনা বাংলাদেশের কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়,বরং সারা দেশে ট্রান্সজেন্ডার সহ এলজিবিটি সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে চলমান বৈষম্য, হত্যা, আঘাত ও মানবাধিকার লংঘন বিষয়ের একটি অংশ মাত্র।


অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম আরও মনে করেন যে যদিও বাংলাদেশ সরকার হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের কিছু উদ্যোগ নিয়েছে,কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।


তাছাড়া, পরিবার থেকে সমাজ এবং সমাজ থেকে রাষ্ট্র সর্বত্র হিজড়া সহ এলজিবিটি সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যসহ যেসকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্মুখীন হচ্ছে সেসবের অধিকাংশ সামাজিক অগ্রহণযোগ্যতা ও অসহিষ্ণুতার কারণে জনসম্মুখের অগোচরে রয়ে যাচ্ছে বলে অ্যাডভোকেট শাহানুর মনে করেন।

No comments:

Post a Comment