জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)ওয়ার্কিং গ্রুপের অধিবেশনে বাংলাদেশ সরকার সমকামী ব্যক্তির সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বিলুপ্তি, সমকামীদের প্রতি নির্যাতন ও
বৈষম্য প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ সমকামী ব্যক্তির অন্যান্য সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার
প্রদান সংক্রান্ত সুপারিশ প্রত্যাখান করায় জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হিউম্যান রাইটস (বিআইএইচআর),লয়ার্স ফর লয়ার্স বাংলাদেশ এবং বৈচিত্র্য.বাংলা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ
করেছে।
গত ১৪ মে ২০১৮ ইং তারিখে ইউপিআর
অধিবেশনে বাংলাদেশ সরকার কতৃক সমকামী ব্যক্তির সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার অস্বীকার
করে অবস্থান তুলে ধরায় এবং ১৮ মে ২০১৮ ইং তারিখে সমকামী
ব্যক্তির সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, আইনগত অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন
এবং সকল প্রকার নির্যাতন ও বৈষম্য নিরসনে বিভিন্ন রাষ্ট্র,
জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্টান ও নাগরিক সমাজের প্রদত্ত শুপারিশসমুহ চুড়ান্তভাবে প্রত্যাখান করায় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব
হিউম্যান রাইটস, জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ও লয়ার্স ফর লয়ার্স বাংলাদেশ এর মহাসচিব এবং বৈচিত্র্য.বাংলা ‘র প্রশাসক অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত এক বিবৃতে তীব্র ক্ষোভ এবং গভীরভাবে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত
মনে করে ইউপিআর অধিবেশনে সমকামী ব্যক্তি অধিকারের স্বীকৃতি না দেয়া এবং সমকামী
ব্যক্তির প্রতি নির্যাতন ও বৈষম্য নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ প্রত্যাখান
করায় বাংলাদেশ সরকার নিজে সমকামী ব্যক্তির প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য প্রদর্শন
করেছে, যা মৌলিক মানবাধিকার ও মহান সংবিধানের স্পষ্ট লংঘন এবং তা
সমকামী ব্যক্তির প্রতি নির্যাতন ও বৈষম্য বৃদ্ধিতে অণুঘটক হিসেবে কাজ করবে। অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত দ্রুত
সমকামী ব্যক্তির সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানসহ দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারা বিলুপ্ত করত
সমকামী ব্যক্তি ধর্ষণের অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন ও কার্যকর
করাসহ সকল ক্ষেত্রে সমকামী ব্যক্তির প্রতি নির্যাতন বন্ধ করে বৈষম্যহীন সম-সুযোগ ও সম-মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোড় দাবী জানান।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, গত ১৪ মে ২০১৮ ইং তারিখে সুইজ্যারলান্ডের
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) ওয়ার্কিং গ্রুপ কর্তৃক তৃতীয় বারের মত একটি মিটিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। গত ১৮ মে ২০১৮ ইং তারিখে (ইউপিআর) ওয়ার্কিং গ্রুপ কর্তৃক বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর শুপারিশসহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত পর্যালোচনা
অধিবেশনে বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ
অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উত্থাপন, সরকারের নিকট মানবাধিকার
পরিস্থিতির বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং সুপারিশ পেশ করেন। অধিবেশনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী
অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের নেতৃত্ত্বে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ
করে মানবাধিকরের বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। আধিবেশনে বাংলাদেশের বর্তমান সমাজ, সংস্কৃতি ও
ধর্মীয় বিধি নিষেধের কারণে সমকামী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয়া সম্ভব নয় বলে
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানান।
অনলাইনে প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে ভিজিট করুন:
শুভেচ্ছাসহ-
অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত
মহাসচিব, বিআইএইচআর ও জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এবং
প্রশাসক, বৈচিত্র্য.বাংলা
No comments:
Post a Comment