গত
০৭/০৬/২০১২ ইং তারিখ সময় আনুমানিক ৭.৩০ মিনিটের সময় ব্যাক্তিগত কাজে
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের তথ্যানুসন্ধান সহযোগী গনেশ
রাজবংশী ডিএমপি, ঢাকার হাজারীবাগ থানাধীন ট্যানারী মোড় এলাকার
তুলা গাছতলার পার্শ্ববর্তী হেলাল ট্যানারির গলিতে উপস্থিত হলে ৪/৫ জন
অপরিচিত ব্যাক্তি তাকে জাপটিয়ে ধরে নাকে মুখে ক্লোরোফর্ম যুক্ত ভেজা কাপর
চেপে ধরে অজ্ঞান করে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে অপহরণ করে ঢাকাস্থ হাজারীবাগ
থানার মিতালী রোড সংলগ্ন “রোজ বিল্ডার্স” কর্তৃক ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত টিনে ঘেরা স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে মিরপুর রিজার্ভ অফিস, ডিএমপি, এর সদস্য
পুলিশ সদস্য রুমেন দে এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসী সুজন রায়, আকাশ শীল সহ ৫/৬জন
অপরিচিত ব্যাক্তি তাকে লাঠি ও বোতল দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এ সময় তারা বলতে থাকে যে, “শুয়ারের বাচ্ছা, মানবাধিকার কর্মী হইছস, শালার পাছা দিয়ে আজ মানবাধিকার ঢুকিয়ে দিব”। এসময় তারা আরও বলে যে, “এই হারামজাদাকে আজ শেষ করে দেই, এরপর এই শালার ওস্তাদ বালফালানা আইনজীবী ও জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এডভোকেট শাহানূর ইসলামকে শেষ করে দিয়ে এদের মানবাধিকার করার সাধ আজীবনের জন্য বুঝিয়ে দিব”। এসময় মি। গনেশ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরে আসলে বাঁচতে চাইলে তাকে দু’লক্ষ টাকা দিতে হবে, অন্যথায় তাকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে।
মি। গনেশ সামান্য একজন মানবাধিকার কর্মী, এত টাকা তিনি কোথায় পাব তাই টাকা
দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা তাঁর গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে।
এসময় তারা তাঁর মুখের ভিতর গামছা ঢুকাতে থাকে, একই সাথে দুই কান ও নাকের
ভিতর বাঁশের শলাকা দিয়ে খোঁচাতে থাকে এবং দু’
চোখের ভিতর আংগুল দিয়ে চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে । ফলে ফলে তাঁর নাক কান
দিয়ে দর দর করে রক্ত বের হতে থাকে। এসময় তিনি আবারও অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে সন্ত্রাসী গন তাঁর হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে একটি
চেয়ারে বসিয়ে হাত পিছন মোড়া করে চেয়ারের সাথে বেঁধে ফেলে।
তারপর, তার সাথে মোবাইল ফোন সেট এবং নগদ ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা ছিনিয়ে
নেয়। অতঃপর, তারা মি। গনেশ আর কোন দিন মানবাধিকার সুরক্ষায় জাস্টিসমেকার্স
বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এডভোকেট শাহানূর ইসলামের সাথে কাজ করবে না
মর্মে অংগীকার করে ১ টি ১০০/-(একশত)
টাকা ও একটি ৫০/-(পঞাশ) টাকার অলিখিত নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পে স্বাক্ষর দিতে
বলে। কিন্তু তিনি স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীগন তার দুহাতের
আঙ্গুল সেভেন আপের বোতল দিয়ে থেতলিয়ে দেয়। পরবর্তীতে, তারা জোর করে
উল্লেখিত স্টাম্প দুটিতে তার ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলের টিপ সই নেয়। অতপর, সন্ত্রাসী গন তাঁকে বস্তায় ভরে বুড়ি গংগায় ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে অজ্ঞাতনামা ২ জন আসামী রিকশায় করে তাকে বেরী বাঁধের দিকে নিতে থাকে। এ সময় রিক্সা হাজারীবাগ ট্যালী অফিস পানির পাম্পের নিকট আসলে মি।
গনেশ সন্ত্রাসী দুজনকে ধাক্কা মেরে রিক্সা থেকে লাফ দিয়ে চিত্কার করতে
থাকে। এসময় আব্দুস শহীদ, ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় এবং টিপু আহমেদসহ অনেকে এগিয়ে এসে
৭/০৬/১২ ইং তারিখ দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিটে (০৮/০৬/১২ ইং তারিখ ভোর) তাকে
উদ্ধার করে এবং ৮/০৬/১২ ইং তারিখ ভোর ২.৩০ মিনিটে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের বি-১ শয্যায় ভর্তি করেন।
ইতোমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে এডভোকেট শাহানূর ইসলামসহ অনেকে হাজারীবাগ থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান
জানান। কিন্তু হাজারীবাগ থানা পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। পরবর্তীতে মি। গনেশ হাসপাতালে
১২/০৬/১২ ইং তারিখ পর্যন্ত চিকিত্সাধীন থেকে একটু সুস্থ হলে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষ রিলিজ প্রদান করলে তিনি সেদিনই থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করতে
চাইলে লিখিত এজাহারে পুলিশের
নাম উল্লেখ থাকায় হাজারীবাগ থানা পুলিশ তা গ্রহনে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে
১৩/০৬/১২ ইং তারিখ হাজারীবাগ থানা পুলিশ লিখিত এজাহারে পুলিশ সদস্যের
পরিবর্তে “ ছোট ছোট চুল ওয়ালা একজন” বলে উল্লেখ করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সঠিক ধারায় মামালা নথিবদ্ধ না করে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩২৩/৩২৫/৩৭৯/৩৮৬ ধারায় একটি মামলা নথিবদ্ধ করেন। যার হাজারীবাগ থানার মামলা নং- ১৪(০৬)/১২।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় মামলা গ্রহন করলেও তা তদন্তে হাজারীবাগ থানা
তত্পর নয়। এমনকি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও অন্যান্য চিহ্নিত রাজনৈতিক
সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করত সঠিকভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে চার্জশীট প্রদানের কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রহন করেননি।